গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

বাণিজ্যমেলা প্রতিদিন : ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর বাইরে হলেও গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুর থেকেই মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে, সন্ধ্যায় লোকারণ্য হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা দূরে হওয়ার ভোগান্তি অনেকে ভুলে গেছেন মেলায় প্রবেশ করেই। তবে করোনাকালীন এই সময়ে মাস্ক পরতে অনীহা ছিল অনেকেরই। বাণিজ্যমেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মহামারি করোনাকালে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শুরুর দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থী তুলনামূলক অনেক কম ছিল। শুরু হওয়ার পর প্রথম শুক্রবার মানুষের উপস্থিতি দেখে খুশি দোকানিরা। ছুটির দিনে অনেকে সপরিবারে মেলায় এসেছেন। মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় বাড্ডা থেকে আসা সাদিয়া আফরিনের সঙ্গে।
তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, মেলায় আসার রাস্তা অনেক খারাপ। সারা রাস্তা ধুলাবালিতে ভরপুর। কিন্তু মেলার ভেতরের পরিবেশ অনেক ভালো। স্থায়ীভাবে বাণিজ্যমেলা আয়োজন এই জায়গাতে হওয়ায় খুশি তিনি। এমনি আরো অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থীরাই মেলার পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন।
দোকানিরা বলছেন, ছুটির দিনে প্রত্যাশার চাইতেও অনেক বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলায় এসেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাণিজ্যমেলায় এ বিষয়ে কথা হয় দিল্লি অ্যালুমনিয়ামের কর্মী তুষারের সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় প্রচুর ভিড়। ঢাকার চেয়ে আশপাশের এলাকার মানুষ বেশি। বেচাকেনা আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে। এদিকে, বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী যেমন বাড়ছে, তেমনি স্বাস্থ্যবিধিও ঢিলেঢালা হচ্ছে।
মেলার কর্মীরা মূল গেটে মাস্ক পরতে বললেও তাদের কথা শুনছেন না বেশির ভাগ দর্শনার্থী। কর্মীরা কাউকে আটকে দিলে পকেট বা ব্যাগ থেকে মাস্ক বের করে কোনো রকমে পরছেন। কিন্তু মেলার ভেতর ঢুকেই মাস্ক আবার ব্যাগে বা পকেটে ঢুকিয়ে রাখছেন।
কিছুক্ষণ পরপর একজনের হাতে স্যানিটাইজার দিচ্ছেন কর্মীরা। তবে গেট পার হয়ে ভেতরে ঢুকেই দর্শনার্থীদের কেউ কেউ মাস্ক খুলে রাখছেন। মেতে উঠছেন ছবি তোলা আর আড্ডায়।
গেটে দায়িত্বরত কর্মীরা বলছেন, মাস্ক ছাড়া কেউ মেলায় যেতে পারবে না বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমরা সবাইকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছি। মূল গেটের বাইরে অনেকেই মাস্ক বিক্রি করছেন। সেখান থেকে কিনে মেলার ভেতর যাচ্ছেন কেউ কেউ। মেলায় মাস্ক ফ্রি দেয়ার কথা থাকলেও মাস্কের বিনিময়ে আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা করে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়ার ক্ষেত্রেও খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়