গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

বাইডেন প্রশাসনকে অগ্নি পরীক্ষায় ফেলেছে করোনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ডেল্টার ধকল সইতে না সইতে এবার করোনার আরেক নতুন ধরন ওমিক্রনে জর্জরিত হয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ফের হু হু করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এ রকম অবস্থা বাইডেন প্রশাসনকে এক অগ্নিপরীক্ষায় ফেলে দিয়েছে। বিবিসি বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের শহরগুলোর চারদিক এখনো আলো ঝলমল। টাইমস স্কয়ারে প্রতি বছরের মতো চলছে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব, ঐতিহাসিক বল ড্রপ, মাসজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় শত শত বাড়ির আলোকসজ্জা। নতুন বছর উদযাপন আয়োজনের কোথাও ঘাটতি ছিল না, কিন্তু স্বস্তিতে নেই মানুষ। করোনা ভাইরাস শেষ করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু তিনি এখন জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। এ বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ বা কংগ্রেসের নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার সঙ্গে থাকবে ৩৬টি রাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচন। ওমিক্রন এই ‘মিড-টার্ম’ নির্বাচনে বাইডেন প্রশাসনের জন্য হবে এক বড় লিটমাস টেস্ট।
টেস্ট কিটের সংকট : ওমিক্রন কোভিড-১৯ এর আগের ভেরিয়েন্টগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ হলেও তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ করোনা ভাইরাস কেস শনাক্ত করা হয়। কিন্তু টেস্ট কিটের সংকট, বাড়তি টেস্ট করা এবং ছুটির কারণে দেরিতে রিপোর্ট করার কারণে এই সংখ্যাকেও পূর্ণ চিত্র মনে করা হচ্ছে না। তাছাড়া বহু মানুষের উপসর্গবিহীন সংক্রমণ থাকতে পারে, যা তারা নিজেরাই জানেন না। মহামারিতে প্রথমবারের মতো প্রতিদিন গড়ে (বিগত সাত দিনের গড়) চার লাখের বেশি নতুন কেসের রেকর্ড করেছে দেশটি।
(সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস)
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নতুন অনুমান বলছে ৯ জানুয়ারি নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে কেসের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ২৫ লাখ, যদিও এ সংখ্যা ৫৪ লাখ পর্যন্ত হতে পারে।
ওমিক্রন ঝুঁকিতে শিশু : এবার এই নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন শিশুদের আক্রান্ত করছে অনেক বেশি। গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। এই মুহূর্তে ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে নিউইয়র্কে ।
নিউইয়র্ক স্টেটের স্বাস্থ্য বিভাগ এক বার্তায় জানিয়েছে, ডিসেম্বরের ৫ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়েছে চার গুণ। নিউইয়র্ক স্টেটের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কমিশনার ড. মেরি টি বাসেট বলেছেন, শিশুদের কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি বাস্তব। তিনি অভিভাবকদের পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দিতে উৎসাহী করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে টিকা নেয়ার পরও কোভিড আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এক বার্তায় দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভর্তি হওয়া ৫-১১ বছর বয়সি শিশুদের কারো সম্পূর্ণ টিকা দেয়া ছিল না। একই সময়ে ভর্তি হওয়া ১২-১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশের সম্পূর্ণরূপে টিকা দেয়া হয়েছিল। পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় টিকা দেয়ার পরও শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কোনো অংশে কম না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়