গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে শীত-কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বেশ কয়েক দিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের উপক্রম হয়েছে। এছাড়া কুয়াশা পড়ার কারণে বীজতলায় ঠান্ডা পানি জমছে। এই পানির কারণে চারা ভালোভাবে বড় হচ্ছে না। মৌসুমের শুরুতেই এমন হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বীজতলা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকরা। এতে করে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে ধারণা করছেন তারা। ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এ অবস্থায় জেলার কৃষকরা বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এরই মধ্যে কৃষকদের শুকনো, ভেজা ও ভাসমান তিন ধরনের বীজতলার বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে স্থান, জমি তৈরি, শেড তৈরি, সার প্রয়োগ, বীজ বপন, বীজ জাগ দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষকদের। এছাড়া শুকনো বীজ একটানা কত ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং কোথায় রাখতে হবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য তাদের দেয়া হয়। পাশাপাশি ভালো চারা উৎপাদনের জন্য বীজের ভ্রƒণজাগরিত বিষয়ে দিকনির্দেশনা নিয়মিত দেয়া হয়।
সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামের কৃষক হরেন জানান, তিনি প্রতি বছর অন্তত আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগান। এ বছরও বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। তীব্র শীতে চারা মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। তবে শীতের প্রকোপে চারাগুলো বড় হচ্ছে না বলে জানান তিনি। শীতের তীব্রতা আরো বাড়লে চারা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলার জন্য ২ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৮১৫ হেক্টরে। অন্যদিকে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৯ হাজার ১১৪ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৩ টন। যা গত বছরে ছিল ৬২ হাজার ৩৫০ হেক্টরে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯০ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, কৃষি বিভাগ থেকে এরই মধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার তেমন একটা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তিনি জেলার কৃষকদের প্লাস্টিক দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেয়ার প্রশংসা করে জানান, বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের মতো বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়