গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

টিকা ছাড়া বাইরে এলেই গ্রেপ্তারের হুমকি দুতের্তের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : যারা কোভিড-১৯ এর টিকা নেননি, তারা যদি ঘরে থাকার নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করার হুমকি দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে।
দেশটিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার তিনি এ হুমকি দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দুতের্তে জানান, তিনি বিভিন্ন এলাকার নেতাদের টিকা না নেয়াদের ওপর নজর রাখতে এবং তারা যেন ঘরের ভেতর থাকে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যদি ওই ব্যক্তি তা মানতে রাজি না হন, যদি তিনি ঘরের বাইরে যান, এলাকায় ঘুরে বেড়ান, তাহলে তাকে আটকানো হবে, যদি তিনি তাও না মানেন দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবাধ্য ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনে ওমিক্রনে আক্রান্তসহ মোট ১৭ হাজার ২২০ নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে; ২৬ সেপ্টেম্বরের পর দেশটি আর কখনোই এত রোগী দেখেনি। গত মঙ্গলবারও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এর এক-তৃতীয়াংশের কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফিলিপাইনে শনাক্ত কোভিড রোগী সংখ্যা ২৮ লাখ ৮০ হাজার পেরিয়ে গেল। দেশটিতে কোভিডে মৃত্যুও ৫১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। দুতের্তে বলেছেন, ফিলিপাইনে প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা ও ভালো রাখার দায় আমার।
গত বছর পর্যন্ত ফিলিপাইনের ৪ কোটি ৯৮ লাখ মানুষ কোভিড টিকার সব ডোজ পেয়েছেন; এ সংখ্যা ১১ কোটি জনসংখ্যার দেশটির ৪৫ শতাংশ। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা অঞ্চলে টিকা না নেয়ারা শুধু জরুরি প্রয়োজনেই ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন। উল্লেখ্য, উল্টোপাল্টা কথা বলার জন্য দুতের্তের খ্যাতি আছে।
গত বছর তিনি টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানানোদের জেলে পাঠানো বা শরীরে পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
তবে তার সাম্প্রতিক হুমকিতে কোভিড-১৯ এর ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দেশটির সরকার যে বেশ উদ্বিগ্ন, তাই প্রকাশ পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করবে বলেও আশঙ্কা তাদের। ফিলিপাইনে এখন পর্যন্ত অন্য দেশ থেকে আসা ও স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত মিলিয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত ৪৩ জন শনাক্ত হয়েছে, যা দেশটির সরকারকে নতুন বিধিনিষেধের দিকে ধাবিত করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়