কাগজ প্রতিবেদক : গত বছর জুলাই-আগস্টে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর তা নামতে নামতে জুলাই মাসে ২ শতাংশের নিচে নেমে আসে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল বলা যায়। কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রনের ত্রাস। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৫ জানুয়ারি তা ৪ শতাংশ ছাড়ায়। দুদিনের মাথায় তার ছাড়িয়ে যায় ৫ শতাংশের ঘর। গত ১৫ সপ্তাহ পর দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার আবারো বেড়ে ৫ শতাংশের উপরে উঠে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর আগে সর্বশেষ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের উপরে ছিল ২০ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৫২টি পরীক্ষাগারে ২০ হাজার ২০৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ১৪৬ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৯২০ জনই ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে একজনের। সুস্থ হয়েছে ১৭০ জন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ২৩ হাজার ৪৩৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়। সংক্রমণ ধরা পড়ে ১ হাজার ১৪০টিতে। সাতজনের মৃত্যু হয়। আর ওই দিন পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৮৬। বুধবার ২১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয় ৮৯২ জন। শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৩৮টি। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭৭৫ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। মৃত্যু হয় ছয়জন। সোমবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৭৮টি। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৭৪ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। রবিবার ১৯ হাজার ১৩০টি নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয় ৫৫৭ জন। মৃত্যু হয় একজনের। আর নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনিবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৫ হাজার ২১৪টি। রোগী শনাক্ত হয় ৩৭০ জন। মৃত্যু হয় চারজনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
করোনা পরিস্থিতির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০টি। এর মধ্যে রোগী শনাক্ত হয় ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন। আর মোট প্রাণহানীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯৬৯ জন এবং নারী ১০ হাজার ১২৯ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যে একজনের মৃত্যু হয়েছে তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের দর্শোর্ধ্ব একজন নারী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।