গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি : ৭০% অর্থ পাচার মিথ্যা ঘোষণায়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অর্থ পাচার বন্ধে প্রথম প্রয়োজন মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করা। কারণ, অর্থপাচারের ৭০ শতাংশ সংঘটিত হয় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি অনেক পুরনো সমস্যা। এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকার কারণে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধে নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। এ ছাড়া নতুন করে নীতিমালা তৈরি করে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানেরও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। এসব কারণে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে এই অবৈধ কাজটি করে থাকেন। এছাড়া ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকে আবার ঘাটতেও চান না। কারণ, পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে পারেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় সহজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে পারেন। আর দেশে অর্থ পাচার বন্ধে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও আইনকানুনের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এতে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি করেও সহজে পার পেয়ে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়