বহুবিবাহের আইনি নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল

আগের সংবাদ

অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র : উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে, ২০২২ সাল হবে অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক > জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

পরের সংবাদ

ভালোবেসেছিলাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতিদিনের মতো আজকেও অফিস ছুটি হয়েছে বিকেল ৫টায়।
সামনে নাবিস্কো গেট। ওখানে বিশাল যাত্রী ছাউনি। শহর এলাকার বাস তার সামনে এসে থামে। যাত্রীগণ ওঠানামা করে। সুতরাং গাড়িতে উঠতে হলে ওখানে আসতে হবে। আর কোনো উপায় নেই।
অফিস থেকে যথাসময়ে বের হয়েছে অহনা। দু’এক পা হেঁটে যাত্রী ছাউনির নিচে দাঁড়ায়। অপেক্ষা শহর এলাকার বাসের জন্য। কিন্তু গাড়িতে খুব জ্যাম। বৃহস্পতিবার এমনই হয়। গাড়ি কয়েকটা মিসও করেছে। তারপরও গাড়িতে ওঠা সম্ভব হয়নি।
মনটা খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে অহনা। খুব অসহ্য লাগছে। ফ্যাকাশে হয়ে আছে তার চেহারা।
হঠাৎ ছাউনির সামনে একটা রিকশা এসে থামে। ব্রেকে পা চাপ দিয়ে তোয়েলে দিয়ে মুখ মুছে। অতিশয় নিচু স্বরে বলে, যাবেন? রিকশায় উঠুন।
বাসা পর্যন্ত রিকশাযোগে পৌঁছতে অনেক টাকা লাগে। এত টাকা অহনার নেই। তাই ইতস্তত বোধ করে। নিচু স্বরে বলে, না চাচা। আমি অনেক দূরে যাব। রিকশায় যাতায়াত করে আমার পুষবে না।
‘আমি চিনি।’
‘কীভাবে?’
‘বেশ ক’বার আপনাগো বাসার দুয়ার পর্যন্ত গিয়েছিলাম।’
আবদুল হক মিয়ার মুখ ঢাকা। অর্থাৎ মুখে মাস্ক পরা। মাস্ক পরার ফলে অনেক চেনা মানুষও অচেনা হয়ে যায়। মাস্কটা খুলে ফেলেছে। চেনা একজন রিকশাচালক। চিনেছে অহনা। স্বস্তির শেষ নিঃশ্বাস ফেলে কহিল- যাক চাচা, আপনাকে পেয়ে বাঁচলাম। আপনি একজন চেনা মানুষ।
রিকশাচালক মাস্কের দিকে একবার তাকায়, আবার অহনার দিকে। হেসে উঠে। হাসি দেবার সময় তার কাঁশি হয়। কাঁশছে খুক্ খুক্ করে। দেখা যাচ্ছে তার দু’ফালি দাঁত। ভিটুমিন কালার চেহারার মাঝে বক ফুলের ন্যায় দু’ফালি সাদা দাঁতা বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে।

বয়স কম হয় নাই রিকশা চালকের। তারপরও ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। এখনো রিকশা ঠেলতে হচ্ছে। অক্লান্ত খাটুনিতে পিঠের মাজা হয়েছে কলাবাঁকা। তারপরও একটু বিশ্রাম নেই। পা দুটি চাপা দিতে দিতে তিনি কহিলেন, আপনাগো মালিক খুব ভালো মানুষ।
অহনা একটু বিস্মিত হইল। নিচু স্বরে জিজ্ঞেস করিল, ও’নারে আপনি চিনেন?
‘হ।’
‘কেমনে?’
ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলছিলেন তিনি, কথা বলতে যদিও কষ্ট হয় তবু মালিকের শাফায়েত গাইতে আগ্রহী। তিনি বললেন, আপনি হয়তো ও’নারে চিনতে পারেন নাই। ও’নার মতো ভালো মানুষ এই শহরে আর আছে কি-না সন্দেহ।
অহনা হতভম্ব হইয়া তাহার মুখের পানে তাকাইয়া আছে। রিকশাচালক পুনরায় বলিল, কিন্তু তাহার ভাগ্য খুবই খারাপ। স্বজন পরিচয়ে একজন মাইয়া বিয়ে করেছিল। দীর্ঘদিন সংসার হয়েছিল। কিন্তু মাইয়াডা এত খারাপ ছিল- কোনো রাত মালিককে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি। আরো অনেক কথা।
‘শেষে?
‘অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনা উতরাইয়া যাবার পর শেষে সংসার ভেঙে গেছে। এরপর থেকে তিনি নির্বোধের মতো হইয়া গেছে।’
‘নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে।’
‘অবশ্যই। মাইয়াডার আরেকজনের সাথে সম্পর্ক ছিল। পরে নাকি তার সাথে বিয়ে হইছে।’
‘এমন ঘটনা স্বাভাবিক। প্রতিদিন শুনি। অবাক হবার কিছুই নেই, কিন্তু তিনি এভাবে নির্বোধ হলেন কেন?’
‘তা তো জানি না।’
‘ওনার ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি সব আছে। এক বউ গেলে কত বউ আসবে। কিন্তু তিনি এভাবে হীনপ্রভা হয়ে পড়ছে কেন?’
তোয়ালে দিয়ে মুখের ঘাম মুছে নিচ্ছে। শ্বাস ফেলতে ফেলতে বলিলেন, আমি মূর্খ মানুষ। এত জ্ঞান-শক্তি আমার নেই। আপনি পারবেন। কারণ শিক্ষিত, জ্ঞানী-গুণী মেয়ে আপনি। আপনি একবার খোঁজ নিন।
হতভম্ব হয়ে গেলেন অহনা। অস্পষ্ট স্বরে বললেন, আমি কীভাবে নেব?
‘আমার বিশ্বাস- আপনি পারবেন।’
কথা বলতে বলতে রিকশা বাসার কাছে এসে থেমেছে। তখন পুরোপুরি সন্ধ্যা। মিটমিট জ্বলছে রাস্তার বাতি। মা খুব ভাববে তাই কালবিলম্ব করেনি, ঝটপট নেমে গেছে রিকশা থেকে। ভাড়া খুঁজতে ব্যাগে হাত রাখে। ততক্ষণে রিকশা অনেক দূরে চলে গেছে।
অহনা চিৎকার করে, দাঁড়ান। ভাড়া নিয়ে যান।
স্পষ্ট স্বরে আবদুল হক মিয়ার গলার স্বর বয়ে আসছে। তিনি বলে যাচ্ছে, ভাড়া নেওয়া মালিকের মানা।
‘কেন?’
উত্তরটা আর শোনা যায়নি। দূর থেকে বহু দূর সীমা অতিক্রম করে গেছে রিকশা নামের রথযান।

দুই.

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একা একা হাঁটছিলেন নোমান সাহেব। তার পাশে কেউ নেই বললে ভুল হবে, বরং কেউ যেতে সাহস পাচ্ছে না।
তিনদিনের ভ্রমণে পুরো কারখানার শ্রমিকগণ এখন কক্সবাজারে। সবাই উল্লাসে মেতেছে। কিন্তু সেই উল্লাসে উল্লসিত হতে পারছে না অহনা। অজানা একটা ব্যথা বুকে আঘাত করছে।
মাসুমা জিজ্ঞেস করিল, কি-রে অহু, থেমে যাচ্ছিস ক্যান?
‘জানি না।’
‘তোকে আগের মতো পাচ্ছি না।’
‘আমারও প্রশ্ন এটা। আমি পারছি না কেন?’
‘বিষয় কি? কারো প্রেমে-টেমে পড়ছিস নাকি?’
অহনা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বলে, মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি হয়ে যায়। বয়স সাতাশ-আটাশ পাড় করছি। এই বয়সে কি কোনো পুরুষ আমার দিকে দৃষ্টি দিবে?
মাসুমা কখনো কখনো পণ্ডিত হয়ে যায়। বলে, অনেক সময় মরা গাঙ্গেও জোয়ার আসে।
‘এটা আদিকালের গল্প।’
‘নতুন রচিত হলে খারাপ কি?’
‘এক হাতে তালি বাজে না। মানুষটি পাচ্ছি না।’
‘কোথাও বসে আছে নির্ঘাত।’
ঠোঁট লম্বা করে বলে অহনা- কি জানি বাবা!
একা বসে আছেন নোমান সাহেব। মাঝে মাঝে সুখটান দিচ্ছে সিগ্রেটে। আগুনের পুলকিটা ওঠা-নামা করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও নোমান সাহেব সিগ্রেটের ধোঁয়া ছাড়ছে- মুহূর্তেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। দূরে কোথাও যেন সানাই বাজাচ্ছে। সেই বিরহ মাখা সুর তার বুকে অভিঘাত হচ্ছে।
অহনা কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, স্যার, আপনার কি শরীর খারাপ?
‘না।’
‘এভাবে ভাবছেন কি স্যার?’
‘কিছুই না।’ একটু বিরক্তবোধ দেখালো নোমান সাহেব।
অহনা তারপরও সাহস করে বললেন, স্যার, কিছু মনে না নিলে- আপনি আমাদের মাঝে আসুন। ভালো লাগবে।
‘আমাকে একটু ভাবতে দাও।’
আর কিছুই বলেননি অহনা। নিজের মতো ফিরে গেলেন। আর প্রথমের ন্যায় বসে আছে নোমান সাহেব। সামনে বিস্তৃত মাঠ। তারপর অথৈ জল। সমুদ্র। শেষে কি আছে কে জানে। বিক্ষিপ্ত রৌদ্র তাপেও মিশিয়ে যায়নি দূর সীমানায় থাকা মিশ্রিত কুয়াশা।

তিন.
কয়েকদিন ধরে নিজ অফিসে অনুপস্থিত নোমান সাহেব। চেয়ারটা শূন্য। অনেকেই খোঁজ নিচ্ছে। কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছে না। একমাত্র ম্যানেজারই জানে।
মধু দুপুরে খাওয়ার টেবিলে বসে অহনাকে জিজ্ঞেস করিল, অহু, গত কয়েকদিন ধরে নোমান সাহেবকে দেখছি না।
‘আমিও তাই ভাবছি।’
‘ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইব?’
অহনা ভ্রæ-কুঁচকে বলে, লোকটা অসভ্য। বলবে কি জানিস?
‘কি?’
‘বামন হয়ে চাঁদ ছোঁয়ার জন্য হাত বাড়িয়েছিস?’
‘ঠিক। অসভ্য লোক।’

অহনা বাহির পানে তাকালো। দেখা যাচ্ছে দূর প্রান্তের খাড়া গাছগুলো। তাদের মাথায় মিশেছে সোনালি রোদ। ফিনফিনে বাতাস বহে। দোলা খাচ্ছে তাদের আগা। গ্রামে এমন গাছে নানা প্রজাতির পাখির ছোটাছুটি এবং গুঞ্জন শোনা যেত। এখন এখানে নিষ্ঠুর কাক ছাড়া আর কোনো পাখির আবাস নেই।
অফিসের পিয়ন খুব চেঁচামেচি করছে। ম্যানেজার সাহেব তাকে ধমক দিয়ে বলিল, এটা মাছ বাজার পেয়েছিস নাকি? এত চিৎকার করছিস কেন?
নিস্তব্ধ হয়ে গেল মোবারক। -না, কিছু হয়নি স্যার!
‘চেচাচ্ছিস কেন?’
‘একজন লোক খুঁজে পাচ্ছি না।’
‘কে?’
‘অহনা।’
ম্যানেজার সাহেব চশমার উপরিভাগে চোখ তুলে কহিল, অহনা আজ ছুটিতে আছে। কিন্তু কেন, কি জন্য?
‘বার্তা আছে।’
কম্পিউটারের বাটন চাপতে গিয়ে তিনি বললেন, তার টেবিলে পাথর চাপা দিয়ে রেখে আয়। আসা মাত্র তার চোখে পড়বে।
মোবারক চুল কুঁচকায়। বলে, ঠিক বলেছেন স্যার।
‘আমি কখনো বেঠিক বলি নাকি?’
‘না স্যার। ঠিক।’
মোবারক অহনার কক্ষে প্রবেশ করল। সুন্দর, গোছানো পরিপাটি কক্ষটা। কোথাও কোনো ধুলাবালি নেই। যদিও চেয়ারে অহনা নেই। পাথর চাপা দিয়ে টেবিলের ওপর রেখেছে বার্তাটি। আসা মাত্র অহনার হাতে পড়বে। একটুও বিলম্ব হবে না।

সকাল সাড়ে দশটা। অবশ্যই অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে আরো আগে। কিছুটা বিলম্ব করেছে অহনা। তাই এদিক-সেদিক না তাকিয়ে কাজে মনোযোগী হয়ে পড়েছে। সামনে অনেক ফাইল-পত্র।
মোবারক দরজার সামনে এসে দাঁড়ায়। গলাটা একটু পরিষ্কার করে বলে- ম্যাডাম, বার্তাটা দেখেছেন? ঐ পাথর চাপা দেওয়া আছে।
অহনা বার্তাখানা হাতে নিয়ে দৃষ্টি রাখলো। অগোছালো হাতের লেখায় একখানা চিঠি-
অহনা,
অবশেষে তোমাকে লিখতে বাধ্য হলাম। কারণ- এখন আমার শেষ মুহূর্ত। এই সময়ে কাউকে অবজ্ঞা করতে নেই। তুমিও পারবে না। বিষয়টা আগে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু পারিনি। বাধার কারণে। দুটা বাধা দুধরনের। একটা অহংকার অন্যটা সময়। নিশ্চয় জানো- দুজন দুই মেরুর বাসিন্দা। তাই জানানো হয়নি। অবশেষে জীবনের ইতি টানার মুহূর্তে লিখলাম। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে আমি শুধু তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। জানি না কতটুকু তুমি গ্রহণ করতে পেরেছ। দীর্ঘ জীবি হও।
ইতি-
নোমান
পত্রখানা পাঠ করে হতভম্ব হয়ে যায় অহনা। চেয়ারে বসে আছে মূর্তির মতো। উঠে যেতে চাইছে কিন্তু পারছে না।
ম্যানেজার সাহেব জানালেন- নোমান সাহেব হাসপাতালে।
‘কি হয়েছে?’
‘খুব খারাপ অবস্থা। আইসিইউতে আছে। মৃত্যুর প্রহর গুনছে।’

চার.
তখন শেষ বিকেলের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
হাসপাতাল পৌঁছে গেছে অহনা। খুব তড়িঘড়ি করে। এই সময়ে মানুষের খুব ভিড় থাকে। শত শত মানুষ। তবু থামেনি অহনা। এত ভিড়ের মাঝে কাউন্টারে পৌঁছে। মাঝ বয়সি এক ভদ্র মহিলা টেলিফোনের বাটন টিপাটিপি করছে। পুরাতন মডেলের ফোন। তিনি এই হাসপাতালের স্টাফ কাম টেলিফোন অপারেটর।
অহনার অস্থিরতা বুঝে নিয়েছেন তিনি। খুব জ্ঞানী-গুণী মহিলা। সহজে তিনি বললেন- নোমান সাহেবকে জরুরি চিকিৎসা দিতে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
‘কেন? ও’নার কি হয়েছে?’
‘শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
কথাটা শুনে কেঁপে উঠেছে অহনার বুক। হাঁটু কাঁপছে। চোখ দিয়ে বের হচ্ছে জল। এমন অবস্থা দেখে তিনি জিজ্ঞেসা করিলেন- আপনার নাম কি?
‘অহনা।’
মুহূর্তে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ায়। বিস্মিত স্বরে বলে- আসুন, শুধুমাত্র আপনি আইসিইউতে প্রবেশ করার অধিকার রাখেন।
প্রশ্ন করতে চেয়েছিল অহনা। কিন্তু পারেনি। বুক ভেঙে কান্না আসছে। আলাবোলা নয়নে শুধু তাকালেন।
কাউন্টার থেকে মেয়েটি বের হয়ে গেছে। অহনার হাত ধরেছে। হাত খুব ঠাণ্ডা। মন ঝরে গেলে সম্ভবত এমনই হয়। মেয়েটি অহনার হাত ধরে বলে- আসুন, আমার সাথে সাথে আসুন।
পথ যেতে যেতে মেয়েটি পুনরায় বলতে থাকল- নোমান সাহেব শুধু আপনার নাম বলছে। অন্য কিছু তাহার স্মরণে-ধ্যানে নেই।

সামনে কাচের একটা ঘর। ভেতরে-বাইরে দেখা যাচ্ছে। স্পষ্ট। ডাক্তারি সরঞ্জামে ভরা। কয়েকটা বিছানাও আছে। সেই বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে আছে নোমান। ভেতরে ডাক্তার ব্যতীত সাধারণ মানুষ প্রবেশ নিষেধ।
শুধুমাত্র অহনাকে প্রবেশের পারমিশন দেওয়া হলো। নোমান একটুখানি চোখ মেলে তাকালো। ইশারা করল- একটু পানি দাও।
অহনা চামচ দিয়ে দু’চামচ পানি নোমানের মুখে দিল। তিনি হাতখানা ধরেছেন। তারপর আরো একবার চোখ মেলে তাকালো। ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিল। পরক্ষণে থেমে গেল। বন্ধ হয়ে গেল দুটি চোখ। আর খুলেনি। হয়তো এটা ছিল তার শেষ দেখা।
অহনা পাগলের মতো চেঁচামেচি শুরু করল। অঝোরে কাঁদছে। তার কান্নার স্বরে পুরো হাসপাতাল নিস্তব্ধ হয়ে গেল। অনেকে তাকে থামানোর চেষ্টা করছে। এতগুলো মানুষের ভিড়ে নোমানের বুকে মাথা গুজে অহনা শুধু বলতে থাকল- আমিও তোমাকে ভালোবেসেছিলাম….।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়