বহুবিবাহের আইনি নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল

আগের সংবাদ

অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র : উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে, ২০২২ সাল হবে অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক > জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

পরের সংবাদ

নাগরপুরে দাদার লাঠির আঘাতে নাতির মৃত্যু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দাদার লাঠির আঘাতে নাতি মো. রিফাত মিয়ার (১৩) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মো. রেজাউল মিয়ার ছেলে। নিহত রিফাত সহবতপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিকালে সহবতপুর বাজার থেকে রিফাতের বাবা বড় একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে বাড়িতে আনেন। তখন রেজাউলের স্ত্রী বলেন, এত বড় মাছ কিনে আনলা, দেইখ এটা নিয়ে কথা হবে। পাশের ঘর থেকে রিফাতের ছোট চাচি এই কথা শুনে শ্বশুর রাজ্জাকের কাছে বলে দেন। এতে রিফাতের দাদা রাজ্জাক মিয়ার (৬৫) মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনি তার ছেলে রেজাউলকে মাছ কিনে আনার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। তখন রেজাউল তার স্ত্রীকে বলেন বাবাকে মাছ দেয়ার জন্য। এতে রাজ্জাক মিয়া (বাবা) আরো ক্ষিপ্ত হন। তিনি ও তার স্ত্রী এবং ছোট ছেলের বৌ মিলে রেজাউল, তার ছেলে রিফাত ও স্ত্রীকে মারপিট করেন। বাবা-ছেলে গুরুতর আহত হন। ওইদিন বিকালে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত অনুমানিক ১টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় রিফাত মারা যান। নাগরপুর থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফাতেমাতুজ্জহুরা বলেন, গত বুধবার বিকাল ৩টার দিকে রিফাত ও তার বাবা রেজাউল মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসলে তাদের ভর্তি করা হয়। রিফাতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করি। রিফাতের আত্মীয়স্বজন তাকে টাঙ্গাইল না নিয়ে পাঁটার দিকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময়ের মধ্যে রিফাত বমিসহ মাথা ব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখছেন বলে জানান। তখন আবারো রিফাতকে দ্রুত টাঙ্গাইল নিতে বলা হয়। কিন্তু তারা না নেয়ায় পরে অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। রাত ১টার দিকে রিফাত মারা যান।
নিহত রিফাতের বাবা রেজাউল বলেন, আমি ঢাকায় একটি আড়তে কাজ করি। ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসি। বুধবার বিকালে স্থানীয় সহবতপুর বাজার থেকে একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে আনি। আমার বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদের মারপিট করেন। এতে আমার ছেলে রিফাতের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। ওই রাতেই আমার ছেলে রিফাত মারা যায়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদরে পাঠানোর হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়