বহুবিবাহের আইনি নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল

আগের সংবাদ

অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র : উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে, ২০২২ সাল হবে অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক > জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

পরের সংবাদ

ট্রলার ডুবির ঘটনা : কাউকে উদ্ধার করা যায়নি, অবস্থানও শনাক্ত হয়নি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ঘাতক ‘এমভি ফারহান-৬’ নামে লঞ্চটি আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে লঞ্চের মাস্টার ও চালকসহ চারজনকে আটক করেছে নৌপুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার কালীগঞ্জ এলাকায় নিজস্ব ডকইয়ার্ড থেকে লঞ্চটি আটক করা হয়। আগের দিন স্থগিতের পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৪টা) নিখোঁজ নয়জনের কাউকেই উদ্ধার এবং ট্রলারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি উদ্ধারকারী দল।
বুধবার সকাল ৯টায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় যারা এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে তারা হলেন- কিশোরগঞ্জের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, রেকমত আলীর ছেলে মুতালিব (৪২), চরবক্তাবলী এলাকার রাজুর ছেলে ছাব্বির (১৮), মধ্য চরের সোহেলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৬), বিল্লাল হোসেন, সোহেলের ছেলে তামিম, মেয়ে তাসফিয়া (২) ও আব্দুল্লাহ।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বলেন, লঞ্চের ড্রাইভার ও মাস্টারসহ চারজনকে আটক করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ট্রলারটি যাত্রীবোঝাই করে বক্তাবলী সিপাইবাড়ী খেয়াঘাট থেকে ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে ট্রলারটি স্পষ্ট দেখা না যাওয়ায় এমভি সোবহান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রলারটি নদীতে তলিয়ে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অন্তত নয়জন যাত্রী নিখোঁজ হন। বুধবার উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধারকাজ চলছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ইউএনও মো. রিফাত ফেরদৌস বলেন, আমরা স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এখনো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নদীতে জোয়ার-ভাটা ও গভীরতা আছে। এছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়া অর্থাৎ ঘন কুয়াশা আছে। এ কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। অভিজ্ঞদের কাছ থেকে জেনেছি যতক্ষণ পর্যন্ত রোদ না পাওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলম হোসেন বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ, সদরঘাট এবং হেড কোয়ার্টার থেকে মোট তিনটি টিম কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ সহযোগিতা করছে। এখন পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলারটির স্থান চিহ্নিত করতে পারি নাই। নিখোঁজদের স্বজন এবং প্রত্যক্ষদর্শী কেউ সুনির্দিষ্টভাবে ট্রলারের স্থানটি বলতে পারে নাই। এ কারণেই আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ডুবুরিদল নদীতে আজও নেমেছে, তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ট্রলারটি উদ্ধার করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়