বহুবিবাহের আইনি নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল

আগের সংবাদ

অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র : উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে, ২০২২ সাল হবে অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলক > জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

পরের সংবাদ

আপাতত বাড়ছে না ভোজ্যতেলের দাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভোগ্যপণ্যের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এখনই ভোজ্যতেলের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের দেয়া প্রস্তাব নাকচ করে দেয়া হয়েছে। সমন্বিত ও অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান মূল্যই বহাল থাকবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের ফলে ভোগ্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক গোয়েন্দা, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপসহ বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) প্রতিনিধিরাও। প্রসঙ্গত, এক বছর ধরে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। ৪৮০-৫৩০ টাকার পাঁচ লিটারের বোতলজাত তেল কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হচ্ছে ৭৩০-৭৬০ টাকা। এরপরও থেমে থাকেননি ব্যবসায়ীরা। দাম আরো বাড়ানোর কারসাজি করা হচ্ছে। বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় এক সভায় আপাতত ভোজ্যতেলের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের (চিনি ও ভোজ্যতেল) মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদকরণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শিগগিরই পরিশোধনকারী কারখানা পরিদর্শন করা হবে। সেখানে আমদানি মূল্য, প্যাকেজিং, অন্যান্য খরচসহ সব পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা করার পর দাম কম বা বেশির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে লিটারপ্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা। এই তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়াতে প্রস্তাব করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। নতুন দাম কার্যকর হলে খুচরা বাজারে লিটার প্রতি মূল্য দাঁড়াত ১৬৮ টাকা। মিলগেট মূল্য হতো ১৫৮ টাকা, আর পরিবেশক মূল্য দাঁড়াত ১৬২ টাকা। ব্যবসায়ীদের ঘোষণা অনুযায়ী বাজারে ভোজ্যতেলে লিটারপ্রতি ৮ টাকা বর্ধিত দাম কার্যকর হচ্ছে না। এছাড়া খোলা সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ৯ টাকা এবং খোলা পাম অয়েলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ দাম কার্যকর হলে বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য হতো ১৪৫ টাকা, যার মিলগেট মূল্য দাঁড়াত ১৪২ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১৪৩ টাকা। আর পাম অয়েলের খুচরা মূল্য হতো লিটারপ্রতি ১২৯ টাকা। মিলগেটে মূল্য দাঁড়াত ১২৬ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ টাকা।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ানোর অজুহাত দেখিয়ে দেশে ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন কয়েক মাস ধরে তেলের দাম বাড়াতে চাচ্ছে। কোনো কোনো মাসে তিন দফা দর বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে সংগঠনটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়