চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

ভাসানচরের পথে আরো ৭০৫ রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে ভাসানচরের পথে রওনা দিয়েছে আরো ২৬৪ পরিবারের ৭০৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। এদের সঙ্গে ভাসানচরের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে গেছেন আরো ৮৭ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি। গতকাল বুধবার দুপুরে নবম দফায় এসব রোহিঙ্গাকে নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছে ৩৪টি গাড়ির একটি বহর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্বে রোহিঙ্গাবাহী ৮টি বাসে করে যায় ৪১৪ জন রোহিঙ্গা। একই দিন বিকালে দ্বিতীয় পর্বে ৫টার দিকে আরো ১৬টি বাস এবং এক্সট্রা বাস, অ্যাম্বুলেন্স, কাভার্ড ভ্যান ও পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ২৯১ জনসহ মোট ৭০৫ জন রোহিঙ্গার গাড়িবহর চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়।
এর আগে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের বুধবার সকালে গাড়িতে করে প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়।
চট্টগ্রাম থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তর করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জামতলী ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানায়, ভাসানচরের পরিবেশ, থাকা-খাওয়ার সুবিধার কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছায় সেখানে চলে যাচ্ছি। এর আগে আত্মীয়স্বজন যারা গেছেন তাদের খবরে আমরাও যেতে রাজি হয়েছি।
এদিকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্ব¡াবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন সূত্রে বুধবার রোহিঙ্গাদের আরো একটি দল নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তবে কতজন যাচ্ছে, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
রোহিঙ্গা স্থানান্তর কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, আজ ৭/৮শ রোহিঙ্গা ভাসানচর যেতে পারে এমনটি জানিয়েছেন।
এর আগে পর্যায়ক্রমে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১৮ হাজার ৯৫৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তর করা হয়।
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার ধারণক্ষমতার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। যেখানে ১৩ হাজার একর আয়তনের ১২০টি অবকাঠামো তৈরি করা হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আসে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। এরপর থেকে তারা উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়