চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা-দিল্লি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বে বায়ুদূষণে গতকাল বুধবার আবারো দিনভর শীর্ষ অবস্থানে ছিল ঢাকা। কিন্তু সন্ধ্যায় নেমে যায় দ্বিতীয় স্থানে। বৈশ্বিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে ঢাকার সঙ্গে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। রাজধানীর পুরান ঢাকার আশপাশের এলাকায় দূষণ সবচেয়ে বেশি বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি, গুলশান, বাড্ডা ও বনানীতে দূষণের মাত্রা বেড়েছে ‘আশঙ্কাজনকভাবে’।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৮৫, যা বায়ুমান সূচকে ‘অস্বাস্থ্যকর’। ঢাকায় বায়ুদূষণের উপাদান অতি সূ² বস্তুকণা পিএএ ২.৫ এর উপস্থিতি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে প্রায় ২৭ গুণ বেশি। দ্বিতীয় স্থানে ছিল দিল্লি। অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকাকে টপকে দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি দূষণের মাত্রা ছড়ায়। ওই সময়ে দিল্লিতে দূষণের সূচক ছিল ২২১। দ্বিতীয় স্থানে নেমে ঢাকায় দূষণের সূচক হয় ২০১। বায়ুমানের সূচক ২০০ অতিক্রম করলে একে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়।
গত কিছুদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর ছিল। অস্বাস্থ্যকর বায়ুর মানের দিক দিয়ে ঢাকা ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান এবং চীনের বড় শহরগুলো রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ঢাকার এমন বায়ু স্বাস্থ্যের ওপর নানাভাবে প্রভাব ফেলছে। ফুসফুসের নানা রোগ, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিলতায় পড়ছে ঢাকাবাসী।
বায়ুদূষণ নিয়ে কাজ করা গবেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ঢাকার বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস হচ্ছে ধুলাবালি। এসব ধূলিকণা মুখে গেলে মানুষ যত্রতত্র থুতু ও কফ ফেলে। তা আবার ধুলার সঙ্গে মিশে নানা মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকতে পারে। আরেকটি উৎস হচ্ছে কয়লা ও জৈব জ্বালানি পোড়ানোর পাশাপাশি শহুরে যান্ত্রিকসহ নানা উৎস থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া ও ধুলা। এসব বাতাসে ক্ষুদ্র কণা ছড়ায়, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গবেষকদের মতে, এসব ছাড়া বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে ইটভাটা, শিল্প–কারখানার ধোঁয়া, যানবাহনের ধোঁয়া এবং সড়ক ও ভবন নির্মাণসামগ্রী থেকে তৈরি ধুলা। ঢাকার ধুলাদূষণ নিয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) একটি গবেষণা আছে। তাতে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের গাছপালায় প্রতিদিন ৪৩৬ টন ধূলিকণা জমে। সেই হিসেবে প্রতি মাসে ১৩ হাজার টন ধুলো জমার হিসেব পেয়েছেন গবেষকরা। এই জমে থাকা ধুলো দিনের বেলা বাতাসের সঙ্গে মিশে যেমন দূষণ বাড়ায়, তেমনই রাতে গাড়ির অতিরিক্ত গতির সঙ্গে বাতাসে উড়তে থাকে। ফলে দিনের বেলার চেয়ে রাতের বেলায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।
ঢাকার ৪টি পার্ক ও উদ্যানে বিভিন্ন প্রজাতির ৭৭টি গাছের পাতা সংগ্রহের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই গবেষণা পরিচালনা করে ক্যাপসের গবেষক দল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়