চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ : ভিপির বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

াগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) সরদার ইয়াছির আরাফাত নোমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ওই কলেজের স্নাতক (সম্মান) ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী। এ সময় তার শাশুড়ি বাগেরহাট শহরের দশানী ক্রস রোড এলাকার বাসিন্দা রেহেনা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। জান্নাতুল ফেরদৌসী চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ নেতা হাসান চৌধুরী নয়নের স্ত্রী।
জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ২৯ ডিসেম্বর বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আমার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ করে স্বামীর সঙ্গে রিকশাযোগে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের মূল সনদ আনতে সরকারি পিসি কলেজে যাই। কলেজ চত্বরে ভিপি সরদার ইয়াছির আরাফাত নোমানের অনুসারী আব্দুর রহমান শাহ, কাওসার, ইকবাল, বিতাসসহ কয়েকজন আমাদের রিকশা অবরোধ করে কলেজে কেন প্রবেশ করেছি জানতে চায়। মার্কশিট নিতে এসেছি জানালে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমরা দ্রুত রিকশা নিয়ে কলেজ ত্যাগের চেষ্টা করি। এ সময় তারা রিকশার পেছনের হুড ও আমার বোরকা টেনে ছিঁড়ে ফেলে। আমার শরীরেও হাত দেয় তারা। একপর্যায়ে তারা রিকশার পেছনে ইটের টুকরা ছোড়ে। রিকশা নিয়ে বাসার সামনে আসার আগে তিনটি মোটরসাইকেলে আব্দুর রহমান শাহ, কাওসার, আরমানসহ কয়েকজন চলে আসে। তারা আমার ও আমার স্বামীর উপর হামলা করে। আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চলে এলে হামলাকারীদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমাদের ভয় দেখায়। এসময় ভিপি নোমান ঘটনাস্থলে আসে। তখন আমি ও আমার শাশুড়ি তার পা জড়িয়ে ধরে আমার স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাই। এতেও নোমান ভাইয়ের মন গলেনি। তখন আমার বুকের উপর লাথি মেরে বলে রক্ষিতা তুই চুপ কর। তোর স্বামীকে মারার জন্যই আমি এসেছি। সেও আমার স্বামীকে মারধর করতে শুরু করে। এতে আমার স্বামীর ডান পা ভেঙে যায়। এছাড়া আমার স্বামীর হাত ও মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। একপর্যায়ে তারা আমার স্বামীর ফোন, ব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ছিঁড়ে নেয় তারা।
এ বিষয়ে ভিপি সরদার ইয়াছির আরাফাত নোমান মুঠোফোনে জানান, পিসি কলেজে মাদক, শিক্ষার্থীদের হয়রানি এবং বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল নয়ন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়। ইদানীং সে আবার কলেজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল। তখন কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাকে কোনো মারধর করা হয়নি। বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়