চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় যত্নবান হতে হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছর শীত শুরু হলেই পৃথিবীর নানা দেশ থেকে অতিথি পাখি আমাদের দেশে পাড়ি জমায় একটু গা গরম করা উষ্ণতার জন্য। যুগের পর যুগ আসলেও এখন অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রমগুলোতে তেমন কলকাকলি শোনা যায় না। মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের নানা কারণে দিনে দিনে বাংলার সৌন্দর্যশৈলীর একটি বিশেষ উপাদান আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
পাখিদের উৎপত্তি নিয়ে এক তথ্য থেকে জানা যায় পাখিদের প্রথম আবির্ভাব ঘটেছিল উত্তর গোলার্ধ্বে। প্লায়োস্টোসিন যুগে চরম শৈত্যপ্রবাহে অস্তিত্ব সংকটে পড়লে তারা দক্ষিণে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছিল। সেই চিরাচরিত রেওয়াজ অনুযায়ী উত্তরের শীতপ্রধান দেশগুলোর পাখিরা একটু উষ্ণতার খোঁজে পাড়ি জমায় নাতিশীতোষ্ণ এই অঞ্চলে। তবে অন্য এক মতে, মূলত দক্ষিণ গোলার্ধ্বেই তাদের উৎপত্তি। ঋতুভেদে প্রাকৃতিক পরিবর্তন, খাদ্যের প্রতুলতা এবং পরিবেশগত কারণে তারা এক সময় উত্তর গোলার্ধ্বে অবস্থান করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের অঞ্চলে ফিরে আসে। খুঁজে নেয় নিরাপদ, নির্জন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জল আর সবুজের কোলে ঠিকানা। বছরের প্রায় ৬-৭ মাস তারা এদেশেই নিরাপদে চষে বেড়ায় হাওর, নদী, খাল, বিল।
এক জরিপে জানা যায় শুধু ইউরোপ আর এশিয়ায় আছে পাখিদের প্রায় ৬০০ প্রজাতি। যারা উত্তর মেরু থেকে ২২ হাজার মাইল পথ উড়ে দক্ষিণ মেরুর দেশগুলোতে বেড়াতে আসে। তবে আমাদের দেশের অতিথি পাখিরা এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমার আংশিক পূরণ করে থাকে। তাদের ঠিকানা হলো বরফাচ্ছাদিত হিমালয় আর তিব্বত অঞ্চল। প্রচণ্ড হিমবাহ আর খাদ্যসংকটে যখন পাখিদের প্রাণরক্ষায় হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তখন তাদের বাঁচার তাগিদেই দেশান্তরী হতে হয়। বাংলাদেশের হাওর, বিল, খালের জলে তাদের জন্য আছে পর্যাপ্ত খাবার উপকরণ। সে কারণেই সুদূর সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং চীন থেকে প্রচুর পাখি অতিথি হয়ে বাংলাদেশে দেশান্তরী হয়ে থাকে। তারা মূলত অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে এ দেশে আসতে শুরু করে এবং শীত কাটিয়ে মার্চ মাস থেকে নিজের দেশে যাত্রা করে।
পাখির সংখ্যা দিন দিন কমছে। প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে পাখিদের নিবিড় সম্পর্ক। সঙ্গত কারণেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাসও তারা পেয়ে থাকে আগেভাগেই। তাই নিজ দেশে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করলেই তারা ধীরে ধীরে সরে আসে উষ্ণমণ্ডলীয় দক্ষিণাঞ্চলে। বাংলাদেশে এ দৃশ্যপট প্রায় অর্ধশত বছরের। অসাধু পাখি শিকারি ও ব্যবসায়ীদের কুনজরে পড়ে বেড়াতে এসে প্রতি বছর অসংখ্য পাখি মারা যায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিযায়ী পাখি রক্ষায় আমাদের যতœবান হতে হবে।

এস ডি সুব্রত : কবি ও লেখক, সুনামগঞ্জ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়