চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় : অনন্য বিজয়ে অদম্য বাংলাদেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট ৮ উইকেটে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রথম নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। এ নিয়ে বিদেশের মাটিতে ৬টি টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। এসব পরিসংখ্যান ও মাইলফলককে ছাপিয়ে গেছে টানা ৫ দিন ক্রিকেট পরাশক্তি নিউজিল্যান্ডকে শাসন করে টাইগারদের জয়ের কৃতিত্বটা। টাইগারদের এ সাফল্যগাথা ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সোনার ছেলেদের নিপুণ ক্রিকেটশৈলীতে আমরাও উল্লসিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন। এটি কেবল একটি জয়ই নয়, অনেক কিছুর প্রাপ্তিও। প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো ম্যাচই জেতা হয়নি বাংলাদেশের। কেবলমাত্র একটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছিল। ফলে পয়েন্ট টেবিলেও জায়গা হয় তলানীতে। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হয় নতুন চক্রে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই লড়াইয়ের শুরুটা বাজেভাবে হলেও নিউজিল্যান্ডে এসে কাক্সিক্ষত জয়ের দেখা মিলল অবশেষে। তাও আবার ইতিহাস গড়ে- ৮ উইকেটে পাওয়া জয়টা আসলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যে কোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশের প্রথম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। আর আগে ১৫ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। হেরেছে ১২টিতেই! পাশাপাশি এটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেরও প্রথম জয় বাংলাদেশের। আগের ৯টি টেস্টেই তারা হেরেছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মুমিনুলবাহিনী। কিউইদের দেয়া ৪০ রানের টার্গেটে ২ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে আজকের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। তবে এবাদত-তাসকিনদের তোপে বেশিদূর এগোতে পারেনি নিউজিল্যান্ড, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায়। ৪৬ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদের শিকার ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১৩০ লিড নেয়া বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ রানের। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের। ১৬ দশমিক ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ তৎকালীন অবস্থানে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে জিতেছিল আইসিসি ট্রফি। কিন্তু তা ছিল মূল বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব এবং আইসিসির সহযোগী সদস্য হিসেবে তাতে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। বাড়তি পুরস্কার হিসেবে ওই বছরই পূর্ণাঙ্গ ওডিআই দলের মর্যাদা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সমালোচকের মুখে ছাই দিয়ে তার বছর তিনেকের মাথায় আমরা পেয়েছিলাম টেস্ট দলের মর্যাদা। মাত্র দুই যুগের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিগত কয়েক বছরে সমীহযোগ্য উচ্চতায় পৌঁছেছে, তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক সময় বাংলাদেশ বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলার আগেই হেরে যেত। এখন আমরা অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে মোকাবিলা করছি। তাদের সঙ্গে জয়ী হয়েছি একাধিকবার। স্বীকার করতেই হবে, টাইগারা এখন ক্রিকেট জ্ঞান-ধ্যান, সাহস, টেকনিক, আত্মবিশ্বাস ও দায়-দায়িত্ব অনেক পরিপক্ব। বিশ্ব ক্রিকেটেই বাংলাদেশ এখন এক দুর্নিবার শক্তি। ক্রিকেটাররা যে বিশ্ব দরবারে শাসন করতে প্রস্তুত হচ্ছে, তাও বুঝিয়ে দিচ্ছে। এই জয়ের আনন্দে আত্মহারা হলে চলবে না, আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগানোর দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়