চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন > ৮০ ভাগ প্রতিশ্রæতিই পূরণ করেছি : আইভী > ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে জনগণ : তৈমূর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নানা রকম প্রতিশ্রæতি দিয়ে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন ছেলে-বুড়ো সবাই। কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা মাতিয়ে তুলেছে নারায়ণগঞ্জের ২৭টি ওয়ার্ড। একই সঙ্গে সবাই দৃষ্টি রাখছেন মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণার দিকে। মেয়র প্রার্থীরা কে কী বলছেন তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাধারণ ভোটাররা। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বন্দর এলাকার ২৬ এবং ২৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ চালান। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গণসংযোগ চালান ১৬ ও ১৭নং ওয়ার্ডে।
গণসংযোকালে আইভী বলেন, যা প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলাম তার ৮০ ভাগই পূরণ করতে পেরেছি। অন্যদিকে তৈমূর বলেন, জনগণ ১৮ বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।
ডা. আইভী বলেন, মানুষের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল রাস্তা আর ড্রেন। কারণ দুটা পৌরসভা নিয়ে সিটি করপোরেশন ছিল। ওই সময় সাধারণ মানুষের প্রধান চাহিদাই ছিল রাস্তা আর ড্রেন। এ ক্ষেত্রে ৯০ ভাগই আমি আমার কথা রেখেছি। এখন চাহিদা রয়েছে খালগুলো খনন করে দেয়া, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও পার্ক তৈরি করে দেয়া। এগুলো নিয়ে আমি এখন কাজ করছি।২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নাই। এই এলাকাবাসীর দাবি তাদের জন্য ওয়াসার পানির ব্যবস্থা করে দেয়া। সেটা নিয়ে আমি কাজ করছি। বড় খেলার মাঠেরও দাবি রয়েছে। এখানে স্কুল রয়েছে, শিশুদের খেলার জন্য মাঠের প্রয়োজন আছে। সেদিকে আমি দৃষ্টি রাখব। এখানে বড় একটা খাল রয়েছে, সেটা টেন্ডার দিয়েও আমি করতে পারি নাই। পরবর্র্তী সময়ে সেটা আমি করব।
আমার এবারের যে মেন্যুফেস্টু তা হচ্ছে আগের কাজগুলো চলমান রাখা, অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। তাছাড়া মেগা প্রজেক্ট চলছে। ড্রেনের মাস্টার প্ল্যান, শহরের মাস্টার প্ল্যান, ট্রান্সপোর্টের মাস্টার প্ল্যানসহ অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এই কদমরসুল অঞ্চলের জন্য

আমরা ৭২ একর জায়গা একোয়ার করছি। সরকার অলরেডি আমাকে টাকা দিয়েছে, একনেক মিটিংয়ে পাস হয়েছে এবং আমরা জাইকার সঙ্গে কথা বলছি এখানে আর কী করা যায়? আরেকটা প্রজেক্ট হলো জালকুড়িতে। ২৩ একর জায়গা আমরা ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ করেছি।আমাদের সঙ্গে পিডিবির চুক্তি হয়েছে ওখানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে। সম্ভবত আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দিপু এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সুতরাং ২টা অঞ্চলেই কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের কাজ কিন্তু অনেক দূর আগানো।
তিনি বলেন, আসলে আমি যখন কাজ করি তখন পক্ষ-বিপক্ষ থাকবেই। ভোটারদের চাহিদা ডে বাই ডে নতুন জন্ম নেয়। তারা বলতেই পারেন। আমার কাজগুলো চলমান রয়েছে। স্থানীয় সরকারের কাজগুলো কখনো সমাপ্ত হয় না। সমাপ্ত হয়েও আবার শুরু হয়। সুতরাং ভোটাররা বলতেই পারেন। আমরা ২৭টি ওয়ার্ডে যেভাবে কাজ করেছি, তা দৃশ্যমান। আমাদের মেজর কোনো কাজ বাকি নাই, যেগুলো বললাম শুধুমাত্র সেগুলোই বাকি আছে। তারপরও প্রত্যেকটি মহল্লার চাহিদা অনুযায়ী নতুন করে কাজ করে দেব ইনশাল্লাহ।
সাংবাদিকদের বর্জ্য সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ডা. আইভী বলেন, বাংলাদেশের কোথাও শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয় না। আমরা ৬০০ টনের মতো বর্জ্য নিতে পারছি। আমাদের সঙ্গে পিডিবির যে চুক্তি হয়েছে তাতে প্রতিদিন আমাদের ৬০০ টন বর্জ্য দিতে হবে যেখানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এখন তো দেখছি আমাকে চেয়ে চেয়ে ময়লা আনতে হবে, ময়লা কিনতে হবে। সুতরাং একটু ধৈর্য ধরতে হবে। শহর তো আর নোংরা থাকে না। ব্যবস্থাপনাটা মাত্র আমাদের শুরু হয়েছে। আধুনিকায়ন করতে দেশের সব অঞ্চলের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জেও এটা ঠিক হয়ে যাবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনে অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে। আমি বিগত ৩টা নির্বাচন করেছি। কখনোই আমার লোকজন, আমার নেতাকর্মীরা ওভার একসেস করে নাই এবং আমিও কোনো দিন আইন ভঙ্গ করি নাই। তিনি প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলমকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি ওনাকে আশ্বস্ত করতে চাই- ওনি যেন ওভার রোল প্লে না করেন। উনি যেন সঠিকভাবে থাকেন এবং অন্য কিছুর আশ্রয় না নিলে আমরা খুব সুন্দর করে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে পারব।
অন্যদিকে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গতকাল নগরীর ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ চালান। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন চলছে জনগণ বনাম নৌকা, জনগণ বনাম সরকারের মধ্যে। তারপরও সর্বদলীয় ভোট পাওয়ার একটা সুযোগ দল আমাকে করে দিয়েছে। এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই দলমত ও ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে আমার মিছিলে যোগ দিচ্ছেন। জনগণ ১৮ বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। জনগণ পরিবর্তন চায়। আমি নির্বাচিত হব ইনশাল্লাহ এবং এই নারায়ণগঞ্জকে যানজটমুক্ত করব।
১৪নং ওয়ার্ডের জিউস পুকুর পাড় এলাকায় এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে বলছি জনগণ এই জিউস পুকুরে নৌকাকে ডোবাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়