চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

জনবল সংকটেও চাঙ্গা খুলনার পাসপোর্ট সেবা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস খুলনার অধীনে ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস (আরপিও) রয়েছে। এসব অফিসে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ, বায়োমেট্রিক গ্রহণ, ভেরিফিকেশন ও বিতরণের জন্য যে পরিমাণ জনবলের প্রয়োজন তা নেই অফিসগুলোতে। উল্টো যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে আবেদনকারীদের সংখ্যা। কিন্তু অল্প জনবল নিয়েই সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে আঞ্চলিক অফিসগুলো। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পর্যাপ্ত সেবা পেয়ে খুশি আবেদনকারীরা।
বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল নিয়োগের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ হয়ে গেলে আরো ভালো সেবা পাবেন পাসপোর্ট আবেদনকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, খুলনার আঞ্চলিক অফিসগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে খুলনায় ২০০, যশোরে ৩০০, নড়াইলে ১০০, চুয়াডাঙ্গায় ১২৫, মেহেরপুরে ১৫০, ঝিনাইদহে ৩০০, মাগুরায় ১৩০, সাতক্ষীরায় ১৮০, বাগেরহাটে ৮০ ও কুষ্টিয়ায় ১৪০টি আবেদন জমা পড়ে।
জনবল সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও মাসব্য) সেলিনা বানু বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শ্রম ও সময় দিয়ে আমরা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তবে আমাদের জনবল কাঠামো থাকলে একদিকে যেমন সেবার গতি বাড়বে অন্যদিকে আমরা নির্বিঘেœ সেবা দিতে সক্ষম হব। গ্রাহকদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে যে পরিমাণ জনবল দরকার আমাদের সেই পরিমাণ জনবল কাঠামো নেই। তারপরও আমরা এ অবস্থায়ও প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
জনবল সংকট নিয়ে কীভাবে কাজ করছেন জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিহাব উদ্দিন খান ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা সবাই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করছি। তবে আমরা জনবল বৃদ্ধির জন্য জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ২০১৯ সালে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে ৯৭৭ পদ সৃষ্টির সুপারিশ করে।
তার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এটি অর্থ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে ১৯৯টি পদ সৃষ্টির সম্মতি দিয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস খুলনার উপপরিচালক মো. শাহাদাৎ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, আমি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলো শুধু সুপারভিশন বা তত্ত্বাবধান করি। তবে যে কোনো আইনি সিদ্ধান্ত প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও মাসব্য) এবং পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কর্মকর্তাদের এখতিয়ার বলে জানান এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়