চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

কুতুবদিয়াজুড়ে চাকরির ফাঁদ প্রতারক চক্রের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কুতুবদিয়া দ্বীপজুড়ে চাকরি ফাঁদে ফেলে একটি প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। মোবাইলে পরিচিত সরকারি চাকরিজীবীর নাম ভাঙিয়ে বিকাশের মাধ্যমে নিচ্ছে টাকা। সোনার হরিণ চাকরির লোভে শিক্ষিত যুবকরা প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হচ্ছে। টাকা খুঁইয়ে অগোচরেই ঠকছে মানুষ। নেই কোনো প্রতিকার।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়েনের পূর্ব আলী ফকির ডেইল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহেদুল আলম জানান, গত সপ্তাহে তার নাম বলে অপরিচিত মোবাইল ০১৮৭০৬৪৫১৪৭, ০১৬২৪৯৮৫১৭৮, ০১৬১০৯৬৮৬০১ থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক দ্বীপাঞ্চল কোটায় লোক দিতে বলে প্রতারক চক্র। যুবকরা ওইসব নাম্বারে যোগাযোগ করে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও বসকে খুশি করার টাকা দাবি মেটাতে চাকরি প্রার্থী যুবকরা সাধ্যমতো অর্থ প্রতারক চক্রের বিকাশ নাম্বার ০১৭৫৪৫২৯৬০৫, ০১৮৬০২৫৯৯৯২, ০১৬২৪৯৮৫১৭৮-তে তারা অন্তত ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখে।
বিষয়টি সন্দেহ হলে প্রতারিত যুবকেরা তার পারিবারের সদস্যদের জানালে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তাকে প্রতারক চক্রটি ব্যবহার করায় তিনি কুতুবদিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি না নেয়ায় ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বায়েজিদ থানায় ডায়েরিটি করান।
একই ভাবে লেমশীখালীর আব্দুল মান্নান নামের এক সেনা দসস্যের নাম বলে মোবাইলের মাধ্যমে একই এলাকার নূর আলম সওদাগরের ছেলে খোরশেদ আলমকে সেনাবাহিনীর চাকরি দেবার নাম করে বিকাশের মাধ্যমে ৩ দফায় ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে প্রতারিত যুবকের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ জানান।
ধুরুং বাজারে বিসমিল্লাহ হোটেল মালিক মানিক সওদাগর বলেন, কয়েক মাস আগে দক্ষিণ ধুরুং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের নাম করে আনসেভ একটা মোবাইলে ১০ হাজার টাকা বিকাশে ধার নেয়। পরে টাকার বিষয়টি উক্ত চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে উক্ত প্রতারককে পরে সন্দেহজনক শনাক্ত করতে পারলেও প্রতারকের নাম প্রকাশ করতে চান না তিনি।
থানার ওসি মুহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, এ ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছে কেউ কেউ। তবে অধিকাংশই দূরবর্তী বিভিন্ন জেলার মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করছে। অনেকেই না বুঝে বোকার মতো মিথ্যা প্রলোভনে সরকারি চাকরির নামে টাকা দিচ্ছে।
অনেক সময় টাকা কম হলে বিষয়গুলো চেপে যান বা অভিযোগ করতে অনীহা দেখান।
বিশেষ করে সেনাবাহিনীতে চাকরির বেলায় কোনো ঘুষ বা আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়