চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

করোনা শনাক্তের হার ফের ছাড়াল ৪ শতাংশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগ পর্যন্ত সামগ্রিক করোনা পরিস্থতির যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল তা এখন দৈনিক ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহী মানুষের সংখ্যা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় কম। কোনো কোনো জেলায় নমুনা কম সংগ্রহ হচ্ছে। আর করোনা পরিস্থতি নিয়ে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষা কমলেও শনাক্ত রোগী ও শনাক্তের হার বেড়েই চলছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় দেশে একদিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৯০০ কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার আবার ছাড়িয়েছে ৪ শতাংশের ঘর।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৫২টি পরীক্ষাগারে ২১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ৮৯২ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২০ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। সুস্থ হয়েছে ২১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৮৯২ জন রোগীর চেয়ে একদিনে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২৯ সেপ্টেম্বর। ওই দিন ১ হাজার ১৭৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। শনাক্ত ৮৯২ জনের মধ্যে ৭৩৯ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা- যা মোট আক্রান্তের ৮২ শতাংশের বেশি। তবে দেশের ২৯টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত; গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৩৮টি। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭৭৫ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। মৃত্যু হয় ৬ জনের। সোমবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৭৮টি। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৭৪ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। রবিবার ১৯ হাজার ১৩০টি নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয় ৫৫৭ জন। মৃত্যু হয় ১ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এদিকে গতকাল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি কিন্তু সেটি অস্বাভাবিক নয়। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহী লোকের সংখ্যা এখন বেশ কম। কোনো কোনো জেলায় নমুনা কম সংগ্রহ হচ্ছে। ষাটোর্ধ্ব বয়সিদের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওমিক্রন নিয়ে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ন্যাজেল ক্যানুলা ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহ করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে সবাই মিলে কাজ করলে সাফল্য সুনিশ্চিত।
করোনা পরিস্থিতির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩ জনের মধ্যে ৩ জনই নারী। তারা সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঢাকা বিভাগে ২ জন আর রাজশাহী বিভাগে ১ জন মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব ১, সত্তরোর্ধ্ব ১ আর আশিঊর্ধ্ব ১ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়