চট্টগ্রামে অসহায়দের কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ক্যাশ টাকা বিতরণ

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে

পরের সংবাদ

উন্নত হচ্ছে শ্রেণিকক্ষ হচ্ছে না শিক্ষাব্যবস্থা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে নিত্যদিনই যোগ হচ্ছে শ্রেণিকক্ষে নিত্যনতুন ডিজিটাল ডিভাইস। পড়াশোনাকে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলতে জুড়ি মেলা ভার শিক্ষকমণ্ডলী, ডিপার্টমেন্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। অথচ শিক্ষাব্যবস্থা! প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষাদানের পদ্ধতি, শিক্ষার মান। করোনা মহামারিকালে দীর্ঘ ১৯ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে অনেকটায় থমকে দাঁড়িয়েছিল শিক্ষাব্যবস্থা। পিছিয়ে পড়েছে সব শিক্ষা কার্যক্রম, থমকে দাঁড়িয়েছে লাখো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। নতুন করে আবার সব চলমান হতে না হতেই হানা দিচ্ছে ওমিক্রন। ধারণা করা যায় দ্রুতই লকডাউন ঘোষণা করা হবে সেই সঙ্গে বন্ধ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেক্ষেত্রে নিস্তেজ, অসচেতন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ যেন এখন ধোঁয়াশাময় এক অনিশ্চিত জগৎ। শিক্ষকদের ক্লাস নেয়ার অনীহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ নির্বাচন, প্রোগ্রাম, মিটিং, ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। ফলাফল সেশনজট, নারী শিক্ষার্থীদের বিবাহ, পুরুষ শিক্ষার্থীদের দায়িত্বের ভারে ঝরে যাওয়া। জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকরা যদি তাদের মূল দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এবং আনুষঙ্গিক কাজে বেশি মনোনিবেশ করেন তবে শিক্ষাব্যবস্থা অচিরেই সেশনজটে জিম্মি হবে এবং জাতি পরিণত হবে হতাশায় নিমজ্জিত মেধাশূন্য মেরুদণ্ডহীন এক জাতিতে। সভ্যতার শেখরে পদচিহ্ন ফেলে যেতে শ্রেণিকক্ষের মানের পাশাপাশি শিক্ষকদের তাদের মূল দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার্থীদের জীবন গড়তে জোর দেয়া এখন জাতির একমাত্র দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হুমায়রা আন্জুম : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়