নৌপুলিশের অভিযান : ৩৫ লাখ মিটার জাল জব্দ

আগের সংবাদ

পঞ্চম দফায়ও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা > ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ : পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

পরের সংবাদ

১৮৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ : রূপালীর সাবেক এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রেলওয়ের জমি বন্ধক দেখিয়ে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিনসহ ছয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে ওই চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেয়া হয়। শিগগিরই দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
এর আগে ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা মামলাটি দায়ের করেছিলেন। অনুমোদন করা চার্জশিটে অপর আসামিরা হলেন- রূপালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক শাখাপ্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. কামাল উদ্দিন, সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আবুল মনসুর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক, এইচ আর স্পিনিং মিলের এমডি মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। তবে মামলায় ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগের এজিএম মনোরঞ্জন দাসকে আসামি করা হলেও চার্জশিটে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকী দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে বন্ধক রেখেছেন। যার বিপরীতে ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগ থেকে দুই দফায় মঞ্জুরি করা ৭৬ কোটি ও ২০ কোটি টাকাসহ মোট ৯৬ কোটি টাকার মধ্যে ৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা ছাড় করা হয়। এই ঋণে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদ প্রযোজ্য হয়েছে ৯০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ১৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে অনুমোদন করা চার্জশিটে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়