নৌপুলিশের অভিযান : ৩৫ লাখ মিটার জাল জব্দ

আগের সংবাদ

পঞ্চম দফায়ও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা > ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ : পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

পরের সংবাদ

সিংড়ায় পরিত্যক্ত সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : সিংড়ায় নির্বাচনের ৯ দিন পর পরিত্যক্ত অবস্থায় সিল মারা ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চামারী ইউনিয়নের মরা নদীর পাড় থেকে বেশকিছু ভেজা ব্যালট পেপার উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পেপার চুরির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চামারী ইউপি নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর এক এজেন্ট।
এর আগে গত সোমবার একই এলাকা থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করে শীত নিবারণ করে শিশুরা।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর চামারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর ৯ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় গোটিয়া মহিষমারী ও বিলদহর মরা নদীর পাড়ে এবং বিলদহর জনৈক আরিফের স-মিলের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ সিল মারা ব্যালট পেপার দেখতে পান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এসব ব্যালট পেপারে দেখা যায়, চামারী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত মোটরসাইকেল ও নৌকা প্রতীকের সিল মারা রয়েছে।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রশিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ব্যালট পেপার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। তদন্তের জন্য আমার নির্বাচনী এজেন্ট (মো. মাহামুদুল হোসেন) লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী রবিউল করিম বলেন, নির্বাচনের দিন আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার অভিযোগও করেছিলাম। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
সিংড়া থানার ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ব্যালটসদৃশ্য কিছু কাগজ নিয়ে এসেছি। সেগুলো শুকানো হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০০ থেকে ৩০০টি হতে পারে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল আলম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার সঠিক নয়। আনুমানিক ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০। ব্যালটগুলো অধিকাংশ পানিতে ভেজা। তার মধ্যে ২-১টি শুকনো রয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চামারী ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) হাবিবুর রহমান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ছিলেন নৌকা প্রতীকের রশিদুল ইসলাম ও মোটরসাইকেল প্রতীকের রবিউল করিম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়