নৌপুলিশের অভিযান : ৩৫ লাখ মিটার জাল জব্দ

আগের সংবাদ

পঞ্চম দফায়ও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা > ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ : পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

পরের সংবাদ

সরঞ্জামাদি দিলেন পৌরসভার মেয়র : অবশেষে নন্দীগ্রামে ২০ শয্যা হাসপাতালে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, জলাবদ্ধতা, বিশুদ্ধ পানির অভাবসহ নাজুক অবস্থায় ছিল বগুড়ার নন্দীগ্রাম ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। নজরদারি না থাকায় হাসপাতালটি মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবশেষে নন্দীগ্রাম সদরের ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ সরঞ্জামাদি প্রদান করেছেন। হাসপাতাল চত্বরে জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ডাক্তার ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় বদলে যাচ্ছে হাসপাতালের চিত্র।
গত সোমবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটি এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে। সেখানে নিয়মিত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হচ্ছে। সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিফা নুসরাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান, থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত, শ্রাবণী আকতার বানু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তোফাজ্জল হোসেন, কৃষি অফিসার আদনান বাবু, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আবু তাহের, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র মতে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে বিজরুল বাজারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। শাজাহানপুর উপজেলা সীমান্তের এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের রাস্তায় বড় যানবাহন চলাচল করে না। সিএনজি, নসিমন এবং অটোভানেই ভরসা। রাত ৮টার পর সেই যানবাহনও চলাচল করে না। ফলে তাৎক্ষণিক রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না বলে মন্তব্য করেন পৌর সদরের বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১-২০০২ অর্থবছরে পৌর শহরে ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে (নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট-সিএমএমইউ) হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হয় ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০০২ সালে হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ২০০৫ সালে এর অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়। কিন্তু অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও জনবল নিয়োগ না দেয়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আটকে যায়। জনবল নিয়োগ ছাড়াই ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক সাংসদ ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছরেও জনবলের অভাবে হাসপাতালটি আর চালু হয়নি। ফলে হাসপাতালের বিশাল ক্যাম্পাস জুড়ে ঘাস ও বিভিন্ন গাছ-জঙ্গল গজায়।
আবাসিক ভবনগুলো নষ্ট হচ্ছিল। ব্যবহার না করায় হাসপাতালের বিছানা ও আসবাবপত্রে ধুলাবালির আস্তরণ জমে যায়। ঘুণপোকা ভবনের দরজা-জানালায় বাসা বাঁধায় খুলে পড়ছে দরজা জানালার কপাট। বহির্বিভাগ চালু থাকলেও তা চলছিল মন্থর গতিতে। এখন সেখানে নিয়মিত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল বলেন, পৌর সদরের ২০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে। বর্তমানে বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। আশা করছি সবার সহযোগিতায় আউটডোরও চালু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়