নৌপুলিশের অভিযান : ৩৫ লাখ মিটার জাল জব্দ

আগের সংবাদ

পঞ্চম দফায়ও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা > ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ : পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

পরের সংবাদ

রেলমন্ত্রী : ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শেষ হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছরের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া এবং জাজিরা-ভাঙ্গা রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল মঙ্গলবার রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রেলমন্ত্রী। এ সময় তিনি আরো বলেন, একই সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন স্থাপনের কাজও শেষ হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া সফর করেছিল। এ সফর উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এ সময় নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যেদিন গাড়ি চলবে সেদিনই রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল। এখন সেতুর দুই পাড়ে ঢাকা-মাওয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। কিন্তু পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ আছে। সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা সেখানে কাজ শুরু করতে দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, আগামী জুনে এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর পুরোদমে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করতে পারব।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন স্থাপনের কাজও শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। কক্সবাজারে আইকনিক রেল স্টেশন স্থাপনসহ এই পথে সাতটি লোকাল রেল স্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। কক্সবাজারের রামু থেকে ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের আওতায় রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল। এই রেললাইন ঘুমধুম থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার কথা ছিল, যা ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের কোয়ার্টারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। কিন্তু মিয়ানমার অংশে এই রেললাইন স্থাপনের সমীক্ষা করা হয়নি। তাই প্রকল্পের ওই অংশের কাজ বন্ধ আছে।
মাসাধিককাল ভ্রমণ করা দেশের রেল যোগাযোগ ও রেল ওয়ার্কশপ পরিদর্শন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সময় বেশ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রেলমন্ত্রী এ সময় জানান, আমরা কমলাপুর স্টেশনকে একটি মাল্টিমোডাল হাবে পরিণত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যা আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ শুরু হবে। পরে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী স্টেশনকেও মাল্টিমোডাল হাবে পরিণত করা হবে, যাতে যাত্রীদের সব ধরনের চাহিদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ে। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়