নৌপুলিশের অভিযান : ৩৫ লাখ মিটার জাল জব্দ

আগের সংবাদ

পঞ্চম দফায়ও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা > ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ : পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

পরের সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন > পদ প্রত্যাহার বিএনপির দলীয় কৌশল : আইভী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনতু রেজা, নারায়ণগঞ্জ থেকে : নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে বয়ে যাচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। নগরীর সর্বত্রই মাথার উপর ঝুলছে কাউন্সিলর এবং মেয়র প্রার্থীদের পোস্টার। বাড়ি বাড়ি ধরনা দিচ্ছেন প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। আকুতি মিনতি করে চাইছেন নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট। অনেক প্রার্থী আবার নিজ লিফলেটের পেছনে ইভিএম ব্যবহারের প্রক্রিয়া চিত্রসহ ছাপিয়ে দিয়েছেন, যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের বিপাকে পড়তে না হয়। নির্বাচনে মূল দুই মেয়র প্রার্থীর প্রচারেও ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে ভোটারদের মাঝে। বিশেষ করে সচেতন মানুষজন প্রতিদিনই খেয়াল রাখছেন দুই মেয়র প্রার্থী কে কি বলছেন? প্রতিদিনের মতো গতকালও দুই মেয়র প্রার্থী নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টায় নগরীর ১নং ও ২নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে তৈমূর আলমের প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আইভী বলেন, এটা তাদের দলীয় কৌশল। এই ব্যাপারে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই।
অন্যদিকে বিএনপি নেতা ও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার নগরীর ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে বলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে প্রত্যাহার করে দল আমার মঙ্গল করেছে।
গতকাল ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, ধনুহাজী রোড, আব্দুল আলী, কালুহাজী রোড পাইনাদী নতুন মহল্লা, সিআইখোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে তৈমূর আলমের প্রত্যাহার প্রসঙ্গে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, এটা একটা দলের কৌশল হতে পারে, এটা নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমি মাঠে লড়ছি তার সঙ্গে, আরো প্রতিদ্ব›দ্বী আছে আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। স্থানীয় সরকারের কাজটি সবসময়ই চ্যালেঞ্জ। সব ধরনের চ্যালেঞ্জই আছে। চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে তেমন করে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না এটা চ্যালেঞ্জ, ওটা চ্যালেঞ্জ। যে কোনো কাজের মধ্যেই চ্যালেঞ্জ আছে। এখন নির্বাচনাও চ্যালেঞ্জের মুখেই হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে কখনো বিভাজন ছিল না। তৃণমূল সবসময়ই একত্রে ছিল। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী, শেখ হাসিনার কর্মী। আমাদের মতভেদ থাকতে পারে, পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দিনের শেষে আমরা সবাই শেখ হাসিনার কর্মী।
অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নগরীর ৪ ও ৫ ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, সাইলো, মুন্সিপাড়া, শিমরাইল, টেশপাড়া, ওয়াপদা কলোনি আটি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, দল আমাকে অব্যাহতি দিয়ে আমার মঙ্গল করেছে। এটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। কারণ নৌকায় যারা ভোট দিত তারাও এখনো স্বাচ্ছ›েদ্ব্য আমাকে ভোট দিতে পারবে। এখন আমি দলীয় কোনো প্রার্থী না। যারা ধানের শীষে ভোট দিত তারাতো কখনো নৌকায় ভোট দেবে না। সেই ভোটগুলো আমি পাব।
তিনি বলেন, নাগরিকদের চাহিদার কারণে আমি প্রার্থী হয়েছি। নাগরিকরা আমার জন্য মাঠে নেমেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরাও আমার জন্য মাঠে নেমেছেন। আমার আশপাশে যাদের দেখছেন তারা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি দলের এক নেতার কিছু বক্তব্যে নির্বাচনে কিছু শঙ্কা দেখা দেবে। একজন নেতা বলেছেন, তৈমূরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। অবশ্য এমন কথা আমি গায়ে মাখি না। তবে এ ধরনের কথাবার্তা উসকানিমূলক। এ ধরনের কথাবার্তায় বিঙ্খৃলার বীজ রোপণ করা হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তৈমূর বলেন, নির্বাচন কমিশন আমার শোডাউন বাধাগ্রস্ত করেছে। আমি তা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সরকারি দলের শোডাউনকে কোনো বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। এমনকি কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১১ সালের সিটি নির্বাচনে আমি বসে যাইনি। বিএনপি বসে গিয়েছিল। এবারের নির্বাচনে বিএনপি আমাকে বলতে পারবে না তুমি বসে যাও। কারণ, বিএনপি আমার মাথার উপর থেকে আমার পদ নিয়ে গেছে। এখন আমি সম্পূর্ণ জনগণের নিয়ন্ত্রণে। দলমত নির্বিশেষে জনগণ আমার জন্য নেমেছে। গত ১৮ বছরের সিটি করপোরেশের যে ব্যর্থতা, করের বোঝা, জনগণের ভোগান্তি। তাই জনগণের রায় আমার হাতি মার্কার পক্ষেই দেবে ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়