নৌপুলিশের অভিযান : ৩৫ লাখ মিটার জাল জব্দ

আগের সংবাদ

পঞ্চম দফায়ও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা > ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ : পুলিশের গাড়িতে আগুন, আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

পরের সংবাদ

চমেক হাসপাতালে হঠাৎ কিডনি ডায়ালাইসিস বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বৃহত্তর চট্টগ্রামে কম খরচে উন্নতমানের কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এজন্য এখানে প্রতিদিন ভিড় থাকে রোগীদের। দৈনিক প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ রোগী প্রতিদিন সেবা নেন সেখান থেকে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস কেন্দ্রে নোটিস সাঁটানো হয়েছে; বুধবার থেকে এই সেবা বন্ধ থাকবে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বৃহত্তর চট্টগ্রামের রোগীদের সিরিয়ালে থাকা রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। ২০১৭ সালে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় চমেক হাসপাতালের নিচতলায় চালু করা হয় ৩১ বেডের সেন্ডর ডায়ালাইসিস কেন্দ্র। সেখানে ২০ শয্যায় চমেক হাসপাতালের রোগীদের রেফার করা বাকি শয্যায় বাইরের রোগীর ডায়ালাইসিস হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চমেক হাসপাতালের ডায়ালাইসিস কেন্দ্রের সামনে সাঁটানো নোটিসে লেখা হয় ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পরবর্তী নোটিস না দেয়া পর্যন্ত আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ডায়ালাইসিস সেবা স্থগিত থাকবে। সে মোতাবেক আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে রোগীদের বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হলো। পরবর্তী সময়ে এ সংক্রান্ত কোনো দায় সেন্ডর বহন করবে না।’ নোটিসে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘২০২০ এবং ২০২১ সালে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে কর্তৃপক্ষের কাছে সর্বমোট বকেয়া এতটা বেশি যে, তহবিল সংকট ও কাঁচামালের অভাবে এ জরুরি সেবা কোনোভাবেই চলমান রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে নোটিস সাঁটানোর পর সেখানে সিরিয়াল নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, এভাবে হঠাৎ করে সেবা বন্ধ করে দেয়া অমানবিক। তারা ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, আমাদের রোগীরা ডায়ালাইসিস করাতে না পারলে মারা যাবে। এই সেবা দিতে না পারলে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হবে প্রতিদিন।
প্রসঙ্গত, মেডিকেলে একজন রোগীকে সপ্তাহে ৩ বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। যার জন্য তারা খরচ করে এক হাজার ৩০ টাকা। তবে বেসরকারিভাবে এই সেবার মূল্য প্রায় ৭ থেকে ১০ গুণ বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডায়ালাইসিস সেবা গ্রহণের জন্য প্রায় কয়েক হাজার রোগী সিরিয়ালে আছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের এই সেবা যদি বন্ধ হয় অনেক অসচ্ছল রোগী ভোগান্তিতে পড়বে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা অসহায়-দরিদ্র রোগীরা। তার মধ্যে গুরুতর কিডনি রোগে আক্রান্তদের অবস্থাও খারাপ হতে থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়