মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মিঠুনের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মধ্যাঞ্চল। তবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলের বোলারদের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি মোহাম্মদ মিঠুন। সৌম্য, তাইবুরদের ¯্রােতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। বিসিএলের নবম আসরের ফাইনালে তৃতীয় দিন শেষে মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান। ১০২ রানে মিঠুন ও ৬৭ রানে শুভাগত হোম অপরাজিত আছেন। তাদের জুটি অবিচ্ছিন্ন রয়েছে ১৬৮ রানে। মধ্যাঞ্চলের ৪ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা।
এর আগে মিরপুরে মধ্যাঞ্চলের হয়ে ব্যাট করতে নেমে এক পাশে দাঁড়িয়ে অসহায় চোখে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। দিন শেষে তিনিই সহায় হলেন, স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দারুণ সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফেরান দলকে। তার সঙ্গে সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ৬৯ বলে পাওয়া হাফ সেঞ্চুরিকে ১৪৭ বলে তিন অঙ্কের ঘরে নেন মিঠুন। খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। মাঠের চারপাশে দারুণ শটে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। ১৬ চার ও ১ ছয়ের মার ছিল তার ইনিংসে। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শুভাগত।
এর আগে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং শেষে মধ্যাহ্নবিরতির আগে ১ ওভার পেয়েছিল মধ্যাঞ্চল। ওই ওভার কোনো বিপদ ছাড়াই শেষ করে দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু বিরতির পর ফিরে যেন সর্ষে ফুল দেখেন ব্যাটসম্যানরা। চলতি আসরে প্রথম খেলতে নামা আব্দুল মজিদ ফেরেন নিজের প্রথম বলেই। তাকে ফেরান ফরহাদ রেজা। তিনে নেমে হাল ধরতে পারেননি সৌম্য সরকার। ১৩ বলে ৩ রান করে ফেরেন ফরহাদের শিকার হয়েই। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা মধ্যাঞ্চলের। তখন আবার আঘাত হানেন ফরহাদ। এবার তার শিকার সালমান হোসেন ইমন (১)। তারপর তাইবুর রহমানও। তিনি ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন এই ফরহাদের বলেই আউট হন। একাই ৪ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ালটন সেন্ট্রালের ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর খেলার হাল ধরেন মিঠুন-শুভাগত। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দিন শেষে স্বস্তিতে আছে ওয়ালটন।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৬১ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে তারা ৩৮৭ রান করে ক্ষান্ত হয়। এছাড়া এনামুল হক ৭৬, ফরহাদ ৭১ ও পিনাক ঘোষ ৬৫
রান করেছেন। মধ্যাঞ্চলের হয়ে হাসান মুরাদ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
এদিকে ব্যাট হাতে জাকির হাসান, আর বল হাতে হাসান মুরাদ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সুসময় কাটছে দুজনের। গত পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে সেটাই। জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শেষ পাঁচ ম্যাচের চার ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন জাকির। আর মুরাদ সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে দুইবার ইনিংসে পাঁচটিসহ নিয়েছেন ২৭ উইকেট।
এনসিএলে জাকির খেলেছেন সিলেটের হয়ে। আর বিসিএলে খেলছেন বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে। সিলেটের জার্সিতে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে শেষ এনসিএল ম্যাচে ১২২ রান করেন ২৩ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। একই ফর্ম ধরে রেখে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে ১৫৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন জাকির। দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ২২ রান করেন। তবে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষেই আবার পান সেঞ্চুরির দেখা, করেন ১০৯ রান। একই দলের বিপক্ষে ফাইনালেও জাকিরের ব্যাট হেসেছে, পাঁচ নম্বরে নেমে ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৫ ইনিংসে ১২৯.৫ গড়ে ৫১৮ রান জাকিরের।
অন্যদিকে ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলকে ৩৮৭ রানে গুটিয়ে দিতে ৫ উইকেট নেন মুরাদ। এই স্পিনার ২৯ ওভারে রান দেন ১০১। প্রথম রাউন্ডে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষেও ইনিংসে পান ফাইফার, ৭৪ রান খরচায় তার শিকার ৬ উইকেট, ওই ম্যাচে তার মোট উইকেট ৭টি। দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩ ও ৪ উইকেট পান। দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডে ঝুলিতে পুরেছিলেন ২ উইকেট। আর চট্টগ্রাম ডিভিশনের হয়ে এনসিএলের শেষ ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে দুই ইনিংসে ৩টি করে উইকেট পান মুরাদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়