মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

মৎস্যজীবী না হয়েও জলমহাল ইজারা নিতে চান এক শিক্ষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : মান্দায় মৎস্যজীবী না হয়েও নিয়মবহির্ভূভাবে জলমহালের ইজারা নিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন এক শিক্ষক। জলমহাল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের চেরাগপুর সমবায় সমিতি লিমিটেডের উপদেষ্টা হয়ে দরপত্র দাখিল করেছেন তিনি। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার চকদেবীরাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ওহিদুল আলম ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিক্ষক রায়হান কবির নামে ওই ব্যক্তি উপজেলার রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের বিল শিশুগাড়ী জলমহালের ৬ বছর মেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করে। গত ১৪ ডিসেম্বর ওই শিক্ষক চেরাগপুর সমবায় সমিতি লিমিটেডের উপদেষ্টা হিসেবে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার পে-অর্ডারের মাধ্যমে জামানত দিয়ে নিকটবর্তী বিল শিশুগাড়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বিপক্ষে দরপত্র দাখিল করেন। বিল শিশুগাড়ী জলমহাল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে চেরাগপুর সমবায় সমিতি অবস্থিত। নিয়ম অনুুযায়ী প্রকৃত মৎস্যজীবী নিয়ে গঠিত ও জলমহালের নিকটবর্তী সমবায় সমিতিগুলো দরপত্র দাখিল করতে পারে। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে ওই শিক্ষক নিজের নামে মৎস্যজীবীর সাইনবোর্ড লাগিয়ে ফায়দা লোটার জন্য নিকটবর্তী সমবায় সমিতিকে বঞ্চিত করতে চেরাগপুর সমিতির উপদেষ্টা হয়ে দরপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগে ওহিদুল আলম বলেন, বিল শিশুগাড়ির গা ঘেঁষেই আমরা বসবাস করি। এই বিলেই আমরা মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করি। বিলে যদি আমরা মাছ শিকার করতে না পারি তাহলে আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তাই যাচাই-বাছাই করে নিকটবর্তী মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা দিলে কয়েকশ পরিবার বাঁচবে। শিক্ষক রায়হান কবির মৎস্যজীবী সেজে আমাদের পেটে লাথি মারার চেষ্টা করছেন। তার পরিবারের কেউ কোনো দিন মৎস্যজীবী ছিল না। তার পরিবারের সবাই চাকরি করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে শিক্ষক রায়হান কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমার যদি না থাকা হয় তাহলে আমি সেখান থেকে সরে দাঁড়াব। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রায়হান কবিরকে ডেকে জবাব চেয়েছি। সঠিক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী না থাকতে পারলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়