কাগজ প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী ২০২১ সালে (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ২৩৫ জন। যার মধ্যে কন্যাশিশু রয়েছে ৬২৯ জন। আর ১৭৯ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে কন্যাশিশু ৬২ জন। ৯৩ জন কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২৭টি। এর মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৪৩টি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৭ ডিসেম্বর করোনাকালীন সময়ে শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জ জেলাতেই মাদ্রাসার ২৬০ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ অক্টোবর করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ দেড় বছরে শুধুমাত্র টাঙ্গাইল জেলাতেই ১ হাজার ২৪২টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ১৫৩ জন কন্যাশিশুসহ অপহরণ হয়েছে ১৮০ জন। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৪২ জন নারীকে পাচার করা হয়েছে। ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন নারীর শ্লীলতাহানি, ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়ন, ৫ জন কন্যাশিশুসহ ২২ জন এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের কারণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৩ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩২ জন কন্যাশিশুসহ ৪৬ জন নারী উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৩ জন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩৮ জন, তন্মধ্যে ৪৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৫৮ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০৮ জন। বিভিন্ন কারণে ১১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৪৪৪ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১৯ জন কন্যাশিশুসহ ৮৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৩১ জন কন্যাশিশুসহ ৪২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১২১ জন নারী ও কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে ৪৩ জন কন্যাশিশু।