মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

নোয়াখালীতে জোড়া খুন : মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ১২ আসামির আটজন হাইকোর্টে খালাস

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নোয়াখালী শহরের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকি ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
যে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে, তারা হলেন কামরুল হাসান প্রকাশ ওরফে সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন প্রকাশ এলজি কামাল। এছাড়া আবদুস সবুরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মোফাজ্জেল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, সামছুদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, জাফর হোসেন, আলী আকবর, নাসির উদ্দিন, আবু ইউছুফ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, আদালত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি বিবেচনায় নিয়ে ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। আরেক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের দণ্ড দিয়েছেন। তবে তিনজন পলাতক রয়েছেন। তাদের আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, বিচারিক আদালত আইন ও সাক্ষ্যপ্রমাণ যথাযথভাবে বিবেচনায় না নিয়ে খেয়ালিভাবে এ মামলার রায় দিয়েছেন, যেটা উচিত নয়। আরো সাবধানতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং আইনকে যথাযথভাবে বিবেচনায় রেখে এ ধরনের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালত তাগিদ দিয়েছেন।
নোয়াখালী শহরের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে হত্যা মামলায় ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নোয়াখালীর দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয় ১০ আসামিকে।
২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালী শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকার মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ করে দুই ভাই ফিরোজ কবির, সামছুল কবির ও দোকান কর্মচারী সুমন পাল বাসায় ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পোল এলাকায় তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতেরা তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তাদের সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, প্রি-পেইড কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক সুমন পালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ফিরোজ কবির ও সামছুল কবিরকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফিরোজ কবির। পরে ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ফিরোজ কবিরের বাবা আবু বকর ছিদ্দিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়