মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

তথ্য চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে চিঠি : মতিঝিল আইডিয়াল অধ্যক্ষের সম্পদের খোঁজে দুদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের অবৈধ সম্পদের খোঁজে ব্যাংক ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভর্তি বাণিজ্য ও ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ অনিয়ম-দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে কারণে দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. আতাউর রহমানের সই করা পৃথক চিঠিতে শাহান আরা বেগমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে গত সপ্তাহে চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র।
যেসব প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিএসসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
গত ২৯ আগস্ট অধ্যক্ষ শাহান আরার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ১৫ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। সেদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন ড. শাহান আরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের যোগসাজশে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনৈতিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ২০১৯ সালে মতিঝিল শাখায় এসএসসি ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়েরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। টেস্ট পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হন তাদের কাছ থেকে বিষয়প্রতি ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করে ফরম পূরণের সুযোগ দেন তিনি। পরে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ওই পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মূল শাখা মতিঝিলসহ বনশ্রী ও মুগদা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনৈতিকভাবে টাকা নেয়ারও

অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীপ্রতি চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। প্রাথমিকভাবে স্কুল ফান্ডে ওই টাকা জমা হলেও পরবর্তী সময়ে অধ্যক্ষসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তা ভাগ করে নেন। এভাবে শাহান আরা বেগম দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘বিশেষ ক্লাসের’ নামে বাধ্যতামূলক অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেয়ে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের বনশ্রী শাখায় অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার ও উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত দল অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। ওই সময় অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত জব্দ করে দুদক। এছাড়া ২০১৯ সালের মে মাসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র ঘষামাজা করে নম্বর দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়