মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

জামিন নিতে আসা দুজনকে কারাগারে পাঠাল হাইকোর্ট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভুয়া সনদ দিয়ে চিকিৎসক হিসেবে নিবন্ধন নেয়ার অভিযোগ ওঠায় ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলার অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। অন্যদিকে পৃথক ঘটনায় ওয়ান ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। পরে দুই আসামিকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শাহিনুর আলম।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ছাড়াও চিকিৎসক নিবন্ধন পাওয়া ১২ জনকে আসামি করা হয়। বাকি ১২ আসামি হলেন- কুমিল্লার বড়ুরার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতীর তন্ময় আহমেদ, ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মতলবের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার সাভারের মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাট সদরের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর দাগনভূঞার মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জ সদরের মো. আসলাম হোসেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা, জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন। চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন বলে মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে সদন জমা দেন এই ১২ বাংলাদেশি।
এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাড়ে ১১ কোটি টাকা স্থানান্তর এবং আত্মসাতের মামলায় ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার এমরান হোসেনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার মা পেশোয়ারা বেগমসহ মামলার অন্য তিন আসামিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করা ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়