মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

কক্সবাজারে পুলিশের বাধা : বিএনপির মহাসমাবেশ ১০ মিনিটেই শেষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সৈয়দুল কাদের, কক্সবাজার থেকে : ছোট ছোট মিছিল নিয়ে কক্সবাজার শহরে প্রবেশ করে অনির্ধারিত স্থান কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু করলে তা পুলিশের বাধায় ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। এরপরই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদেরসহ বিচ্ছিন্নভাবে ঈদগাহ ময়দান থেকে চলে যান। পরে হোটেল-মোটেল জোনের লং বিচ হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। কেউ চিকিৎসা করতে চাইলে তাকে বাধা দেয়ার দৃষ্টান্ত বিশ্বের কোনো দেশে নেই। বর্তমান অবৈধ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আমাদের তিনবারের একজন প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটি জাতির জন্য সুখকর নয়।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার কক্সবাজারে মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়। কিন্তু সেই কর্মসূচিকে পণ্ড করতেই প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। সোমবার ভোর থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল ও বিএনপিসহ

অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। সেখান থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সকাল ১০টার পর ঈদগাহ ময়দানে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বেলা পৌনে ১১টায় মহাসমাবেশ শুরু হলে তখনই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বেলা ১১টার দিকে দলটি মহাসমাবেশ শুরু করে। এতে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য শুরু করতেই পুলিশ এসে সমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে কোনো সংঘাত হয়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের।
বিএনপির মহাসমাবেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম এবং কেন্দ্রীয় নেতা ইসরাক হোসেন উপস্থিত থাকলেও নজরুল ইসলাম খান ও মিজানুর রহমান মিনু এক মিনিট করে বক্তব্য দেন। পরে পুলিশ সমাবেশস্থলের দিকে এগুলে দলটি মহাসমাবেশ সেখানেই শেষ করে দেয়।
কক্সবাজার শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কানন বড়–য়া বলেন, প্রশাসন ১৪৪ দিয়ে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশ করেছে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় সমাবেশ শেষ করা হয়।
কক্সবাজার জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নাছিমা আক্তার বকুল বলেন, ৫ ঘণ্টার মহাসমাবেশ ছিল। কিন্তু আমরা পুলিশের বাধায় অতটা সময় থাকতে পারিনি। তবে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মিছিল নিয়ে ইদগাহ ময়দানে জমায়েত হয়। এরপর মহাসমাবেশ হয়।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, মহাসমাবেশ আমরা করেছি। ১৪৪ ধারা ভেঙেছি। এদিকে মহাসমাবেশ শেষ হলে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন।
অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবীবিষয়ক ও কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমানের কাজলের শহরের কলাতলী রোডস্থ বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার থেকে পুরো শহরের প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়