মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ : বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আবদুল্লাহ হারুন রাসেল ও এডভোকেট রাশিদা চৌধুরী গতকাল সোমবার এ রিট দায়ের করেন। রিটে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া বক্তব্য অনেকটা সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে বলা হয়, এ জন্য বিষয়টির সঠিক তদন্তের জন্য নতুন করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, র‌্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ সাতজনকে বিবাদি করা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে এ ঘটনার বিচারিক অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো সাড়া না পাওয়ায় রিট আবেদনটি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে, তবে বিভিন্ন সংস্থা ঘটনা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে গরমিল আছে। তাই প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে রিটটি করা হয়। চলতি সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
কক্সবাজারের আলোচিত ওই ঘটনার ভিকটিম নারী বলেছিলেন, গত ২২ ডিসেম্বর বিকালে তিনি স্বামী ও আট মাসের সন্তানসহ সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথাকাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে তারা তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি জানালা দিয়ে এক যুবকের সাহায্য নিয়ে নিজেকে উদ্ধার করেন। র?্যাবের সহায়তায় তার স্বামী-সন্তানকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর জিয়া গেস্ট ইনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে র?্যাব। এতে দেখা যায়, তিন যুবক অটোরিকশায় এক নারীকে নিয়ে আসেন। দুজন ওই নারীর সঙ্গে থাকেন। আরেকজন হোটেলের রুম বুকিং দেন। সে সময় রিসিপশনে হোটেলের ব্যবস্থাপক ছোটন ছিলেন।
এরপর তিন যুবক ওই নারীকে নিয়ে ওপরে চলে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যুবকরা বেরিয়ে গেলেও ওই নারীকে নামতে দেখা যায়নি। র?্যাব জানায়, এই ফুটেজ থেকে দুজনকে শনাক্তের পর ওই নারীকে তাদের ছবি দেখানো হয়। তিনি তাদের চিনতে পেরেছেন বলে জানান।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী গত ২৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় আশিকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। তাতে চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয় আরো তিনজনকে। মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি ও সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় মামলার ২ নম্বর আসামি ইসরাফিল হুদা জয়কে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়