মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয় ও দোকান ভাঙচুর : সাঘাটা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়, কর্মী-সমর্থকের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। গত রবিবার রাতের এ ঘটনায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সাঘাটা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাঘাটার কচুয়া ইউনিয়নের সতীতলা সাহেব বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম বকুলের কর্মী-সমর্থকদের দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়।
ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী প্রধানের কর্মী-সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর। ৫০-৬০ জনের একটি দল নির্বাচনী কার্যালয়, নৌকার সমর্থক আমিনুল ইসলাম মান্নু ও সেরেকুল ইসলামের ওষুধের দোকান, তোফাজ্জল হোসেনের কাঁচামালের দোকান, তাজুল ইসলামের সার ও কীটনাশকের দোকান, তরিকুল ইসলামের মুরগির দোকান এবং ওসমানের পাড়া রেলগেটে শাহজাহান মিয়ার একটি চায়ের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় আব্দুল হালিম মণ্ডলের খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান করে।
এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠজন মো. আজাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মিছিল ও গণসংযোগ শেষে ওসমানের পাড়া রেলগেটে অবস্থান করি। এ সময় রফিকুল ইসলাম বকুলের নির্দেশে পাঁচটি দামি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারই কর্মী-সমর্থকরা। আমাদের ওপর দোষ চাপাতে তারা নিজেরাই নিজেদের দোকান ভাঙচুর করেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম বকুল বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য ধারালো অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে তারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজা জিহাদ প্রধান ‘৫ তারিখ কবে আসবে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছি না’ এ রকম কথা লিখে সম্প্রতি তার ফেসবুক আইডির স্টোরিতে ধারালো অস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে বলেও অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম। হামলার ঘটনায় মামলা করা বলে জানান রফিকুল। তবে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়