মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

আর্থিক অনটনে চবি ছাত্রের আত্মহনন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেরিন সায়েন্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র অনিক চাকমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের পাশে এস আলম কটেজের ২১২ নম্বর রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর্থিক অনটনে পড়ে মানসিক বিষণ্নতা থেকে চবি ছাত্র অনিক চাকমা আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছে তার সহপাঠীরা। অনিকের মরদেহ উদ্ধারের পর তার সহপাঠী ও কটেজের অন্য বাসিন্দাদের মধ্যে আর্থিক অনটন নিয়েই আলোচনা চলছে। যদিও অনিকের রুম থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ নেই। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তিনি হতাশায় ভুগতেন বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান আবু তৈয়ব বলেন, আমরা মরদেহটি উদ্ধার করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে আত্মহত্যা করেছে সে। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। রুমের দরজা বন্ধ ছিল। আমরা দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করি। হত্যা না আত্মহত্যা, সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা আত্মহত্যা বলে ধরে নিচ্ছি।
এদিকে আত্মহননকারী অনিকের রুমে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে আত্মহত্যার কথাটি তিনি স্পষ্ট কিছু উল্লেখ করেননি। তবে তিনি সত্য কথা বলার কারণে নানা সময় সমস্যার পড়েছেন এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিলেন বলে ডিপ্রেশনে ভুগতেন বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে অনিকের সহপাঠী মেরিন সায়েন্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্মরণ রাজবংশী বলেন, অনিকের সঙ্গে আমার কথা হতো। তবে বেশি হতো না। সে সবার সঙ্গে বেশি মিশতও না। তার পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সে অনেকের কাছে ধারদেনা করেছিল। অনেকের দেনাগুলো পরিশোধও করতে পারেনি। পরিবারের কাছ থেকে আর্থিকভাবে তেমন সাপোর্ট না পাওয়ায় মানসিকভাবে বিষণ্নতায় ভুগত।
কটেজের আরেক বাসিন্দা প্লাবন চাকমা বলেন, আমার সঙ্গে তার প্রতিদিনই কথা হতো। রবিবার সন্ধ্যায়ও কথা হয়েছিল। সে অনেক আর্থিক সমস্যায় ছিল। হলের ডাইনিং এ খাওয়া-দাওয়া করার জন্যও তার টাকা ছিল না। পরিবারের কাছ থেকে তেমন আর্থিক সাপোর্ট পেত না। ফলে অনেক বন্ধুর কাছ থেকে ধারদেনা করে চলত। এসব বিষয় নিয়ে সব সময় ডিপ্রেশনে থাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়