মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

অবশেষে গদি ছাড়লেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিতর্কিত একটি চুক্তি করে ক্ষমতায় ফেরার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক। অক্টোবরে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে প্রধানমন্ত্রী হামদককে গৃহবন্দি করেছিল, কিন্তু অভ্যুত্থানের নেতাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির একটি চুক্তি করে নভেম্বরে পদ ফিরে পান তিনি। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে পুরোপুরি বেসামরিক রাজনৈতিক শাসনের দাবিতে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে।
দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে গত রবিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন হামদক। এ দিন প্রতিবাদ চলাকালে অন্তত দুজন নিহত হন বলে চিকিৎসকদের বরাতে জানায় বিবিসি। টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে হামদক বলেন, সুদান একটি বিপজ্জনক মোড়ে আছে- যা এর সম্পূর্ণ অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে। দেশকে ‘বিপর্যয়ে পড়া’ থেকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যা কিছু করা হয়েছে তার সবকিছু ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য করা সত্ত্বেও সেটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমি এই দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার পদত্যাগ ঘোষণা করছি আর অন্য কোনো পুরুষ বা নারীকে এই মহান দেশকে ক্রান্তিকালীন সময় পার করে বেসামরিক গণতান্ত্রিক দেশে উত্তরণে সাহায্য করার সুযোগ দিচ্ছি।
২০১৯ সালে ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে সুদানের দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল বশির ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর দেশকে গণতান্ত্রিক শাসনের দিকে নিয়ে যেতে বেসামরিক ও সামরিক নেতারা নড়বড়ে একটি ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি করে দেশ চালাতে থাকেন। নভেম্বরে হামদকের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী পুনর্বহালকৃত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের আগ পর্যন্ত টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত একটি মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই বেসামরিক সরকারের কতটা ক্ষমতা থাকবে তা পরিষ্কার ছিল না। তাছাড়া বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, তারা সামরিক বাহিনীকে বিশ্বাস করেন না।
গত রোববার রাজধানী খার্তুম ও সংলগ্ন শহর ওমদুরমানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা ‘জনগণের ক্ষমতা’ বলে স্লোগান দেয় ও রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায়। আন্দোনলকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলছেন, ২০২২ সাল হবে প্রতিরোধের ধারাবাহিকতার বছর। গণতন্ত্রপন্থি সুদান সেন্ট্রাল ডক্টরস কমিটির তথ্য অনুযায়ী, রবিবারের দুজনসহ অভ্যুত্থানের পর থেকে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান অক্টোবরের অভ্যুত্থানের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, আসন্ন গৃহযুদ্ধের হুমকি থেকে দেশকে রক্ষা করতে সামরিক বাহিনী এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
সুদান এখনো বেসামরিক শাসনে ফিরতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ বলে জানান তিনি। দেশটিতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়