কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ২০১৯ সালের আজকের এই দিনে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি লন্ডনে চলে যান। প্রবাস জীবনে সেখানে তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন। কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।
ব্যক্তিগত জীবনে নির্লোভ ও সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্ম নেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আজ সকাল ৯টায় তার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি সংসদ।