মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র : মাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত

আগের সংবাদ

সংসদ প্রাণবন্ত করার তাগিদ : বিশ্লেষকদের মতে, ‘৭০ ধারা বড় বাধা’, সংশোধনীর দাবি, কার্যকর বিরোধী দলের বিকল্প নেই

পরের সংবাদ

বিআইডব্লিউটিসির ফগলাইট কেনায় দুর্নীতি : সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফগ এন্ড সার্চলাইট কেনার পরিবর্তে শুধু সার্চলাইট কিনে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সপ্তাহে মামলার অনুমোদন দেয়া হলেও দুএকদিনের মধ্যে সংস্থার সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।
অনুমোদন হওয়া মামলার আসামিরা হলেন- বিআইডব্লিউটিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক (কারিগরি) ড. জ্ঞান রঞ্জন শীল, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ক্যাপ্টেন শওকত সরদার, নুরুল হুদা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি পঙ্কজ কুমার পাল, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (মেকানিক্যাল) ইঞ্জিনিয়ার মো. রহমত উল্লা, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) মেকানিক্যাল বিভাগের ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং মেসার্স জনি করপোরেশনের মালিক ওমর আলী। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১০ কিলোমিটার দেখা যায় এমন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফগ এন্ড সার্চলাইট কেনার উদ্যোগ নেয় বিআইডব্লিউটিসি। এরই অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের জুন মাসে আরিচা ও মাওয়া ঘাটে ১০টি লাইট স্থাপন করা হয়। কাগজপত্রে ফগ এন্ড সার্চলাইট স্থাপনের কথা বলা হলেও অনিয়মের মাধ্যমে শুধু সার্চলাইট বসানো হয়েছে। অনুসন্ধানকালে দুদক জানতে পারে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও পিএসআই কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে সার্চ এন্ড ফগ লাইটের পরিবর্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্চলাইটসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয় করে সরকারের ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন।
অনুসন্ধানকালে দুদক জানতে পারে, ২০১৫ সালের ৪ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত মোট ১০টি ফেরিতে ফগ এন্ড সার্চলাইট স্থাপন করা হয়েছে। আরিচায় চলাচলকারী ফেরিগুলো হলো- খাঁন জাহান আলী, জাহাঙ্গীর, এনায়েতপুরী, কপোতী ও কুমারী। মাওয়ার ফেরিগুলো হলে- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, আমানতশাহ, শাহ আলী, কাকলী ও ক্যামেলিয়া। এসব লাইট স্থাপনের পরও ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে লাইটের বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে ফগ এন্ড সার্চলাইটের অস্তিত্ব নেই বলে উল্লেখ করা হয়। অনুসন্ধান

পর্যায়ে বিআইডব্লিউটিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক (কারিগরি) ড. জ্ঞান রঞ্জন শীল ও জিএম শওকত সরদারসহ ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়