মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র : মাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত

আগের সংবাদ

সংসদ প্রাণবন্ত করার তাগিদ : বিশ্লেষকদের মতে, ‘৭০ ধারা বড় বাধা’, সংশোধনীর দাবি, কার্যকর বিরোধী দলের বিকল্প নেই

পরের সংবাদ

প্রকল্প উঠবে একনেক বৈঠকে : কুমারগাঁও-এয়ারপোর্ট সড়ক ৪ লেন হচ্ছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চার লেন হচ্ছে সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট মহাসড়ক। এ জন্য একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। সড়কটির উন্নয়ন হলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সঙ্গে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার যাতায়াত সহজ হবে এবং সিলেটের যানজট কমে যাবে। একই সঙ্গে প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে সড়কটির এমডিটি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেয়া সুপারিশ প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সঙ্গে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার যানজটমুক্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এছাড়া সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে চলাচলকারী ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে সিলেট শহরে যানজট নিরসন হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য বলে মনে করছে কমিশন।
এদিকে প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। সড়কটি সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে যাতায়াতে প্রধান ও একমাত্র বিকল্প পথ। একই সঙ্গে সিলেট শহরের যানজট এড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক যানবাহনের ডাইভারশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সড়কটি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছয় কিলোমিটার কুমারগাঁওয়ে শুরু হয়েছে এবং বাদাঘাট দিয়ে অতিবাহিত হয়ে এয়ারপোর্টের নিকটে ওসমানী বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বাদাঘাট লিংক রোডসহ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৭৮০ কিলোমিটার এবং বিদ্যমান প্রস্থ পাঁচ দশমিক ৫০ মিটার।
সড়কটির শেষ প্রান্ত থেকে ৮০০ মিটার দূরে সিলেট সড়ক শুরু হয়েছে, যা বাংলাদেশের বড় বড় পাথর কোয়ারির সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। ভোলাগঞ্জ হতে পাথর বহনকারী ট্রাকগুলো সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে, তবে নগরীর কেন্দ্রস্থল আম্বরখানা ইন্টারসেকশনে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে সময় ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটিকে আপগ্রেডেশন করা হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো আম্বরখানার দীর্ঘ যানজট এড়িয়ে বাদাঘাট, কুমারগাঁও দিয়ে যাতায়াত করে জাতীয় মহাসড়ক এন-২তে পৌঁছাবে। এতে সিলেট শহরের যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। বর্তমানে বিমানবন্দরটি দুই লেনবিশিষ্ট একমাত্র সংযোগ সড়কের মাধ্যমে সিলেট শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কেপিআই স্থাপনা হিসেবে বিমানবন্দরটির অবশ্যই বিকল্প সংযোগ সড়ক থাকা প্রয়োজন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই উদ্দেশ্যও পূরণ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়