নজরুল ইসলাম খান : খালেদা জিয়ার কিছু হলে রেহাই পাবেন না

আগের সংবাদ

নতুন বছরে সরকারের ১০ চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

মুদ্রণ বাকি রেখে বই বিতরণ : সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাড়ে ৩ কোটি মুদ্রণ বাকি রেখেই গতকাল থেকে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার কারণে এবার বই উৎসব পালন করা হচ্ছে না। ২০১০ সাল থেকে উৎসবের মাধ্যমে পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে সরকার। শিক্ষার্থীদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে নতুন বই তুলে দেয়া সরকারের একটি চ্যালেঞ্জ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বলা যায়, নববর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বাড়তি আনন্দের দিন। এবার তার ব্যত্যয় হলো। বিগত সময়ের নানা গাফিলতি, ত্রæটি-বিচ্যুতি ও ব্যর্থতার অভিজ্ঞতার আলোকে এক দশক পেরিয়ে এসে বই বিতরণে বিশৃঙ্খলা, অস্বচ্ছতা ও অনিশ্চয়তা দূর হওয়াই ছিল প্রত্যাশিত। জানা গেছে, সরকার এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫ কোটি বই মুদ্রণ করছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৪টি আর মাধ্যমিকে ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৬টি বই আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত প্রাথমিকে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ২৩২ এবং মাধ্যমিকে ২১ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ৫৫৫টি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। এই হিসাবে প্রাথমিকে ৭০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪২ এবং মাধ্যমিকে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৭০১টি বই সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। অতীতে আমরা দেখেছি, বই বিপণন নিয়ে নানা ঘটনা। বিনামূল্যে বিতরণের বই কালোবাজারে বিক্রি, বইয়ের সঙ্গে নোট বই কিনতে অভিভাবকদের বাধ্য করার মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণির বই বছরের পর বছর সময় মতো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রকাশক। অন্যদিকে পাঠ্যপুস্তকের মান নিয়েও সংশয় ছিল। অস্পষ্ট ছাপা, নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করা হতো এসব পাঠ্যপুস্তকে। এসব অনিয়ম অভিযোগ থেকে বের হতে পেরেছে প্রকাশক। কিন্তু সময়ে বই বিতরণ এটা বড় চ্যালেঞ্জিং। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণসহ শিক্ষা খাতে বাজেটের এক উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ যে জাতির জন্য সত্যিকার অর্থেই লাভজনক তা বাস্তবতার নিরিখেই প্রমাণিত হয়েছে। সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিনামূল্যে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই বিতরণ ও নারীদের অবৈতনিক শিক্ষার যে পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে তা বিশ্ব সমাজেরও প্রশংসা অর্জন করেছে। এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই বিনামূল্যের পাঠ্যবই প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা অনেক মূল্য দিয়ে বাজার থেকে বই কিনতে বাধ্য হবেন। এভাবেই বিনামূল্যে নিশ্চিত বই সরবরাহের জাতীয় কার্যক্রমকে অনিশ্চিত করে তোলার মধ্য দিয়ে একটি মহল মোটা অঙ্কের মুনাফাবাজির সুযোগ গ্রহণ করবে। দীর্ঘ দেড় বছর করোনার কারণে লেখাপড়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বলব, সংশ্লিষ্টদের খামখেয়ালিপনায় শিক্ষার্থীরা আর ক্ষতিগ্রস্ত না হোক সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়