নজরুল ইসলাম খান : খালেদা জিয়ার কিছু হলে রেহাই পাবেন না

আগের সংবাদ

নতুন বছরে সরকারের ১০ চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

বোলিংয়ে সন্তুষ্ট কোচ : কিউইদের বেশি এগোতে দেয়নি টাইগাররা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের মাঠে পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট টাইগার বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। গতকাল দিন শেষে ব্ল্যাক ক্যাপসদের সংগ্রহ ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৮ রান। স্বাগতিকদের পক্ষে বছরের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ডেভন কনওয়ে, ফিফটির দেখা পেয়েছেন ওপেনার উইল ইয়ং। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট শিকার করেন এবাদত হোসেন ও মুমিনুল হক। আজ কিউইদের অবশিষ্ট ৫ উইকেট তুলে নিতে মাঠে নামবে মুমিনুল বাহিনী।
উইকেট আর কন্ডিশনের কারণে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের পেস বোলাররা সুবিধা করতে পারেন না। সেই অভ্যাসে তারা অনেক সময় ভুলে যান বিদেশের সহায়ক কন্ডিশন কাজে লাগাতেও। তবে গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শুরু সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথমদিন অন্য চেহারায় দেখা গেছে টাইগার পেসারদের। টস জিতে তাসকিন-শরিফুলদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। শুরুটা দুর্দান্তই ছিল পেসারদের। প্রথম ঘণ্টায় ১৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫ রান তুলতে পারে নিউজিল্যান্ড। যদিও ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরিতে পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউইরা। তারপরও বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি ঝরে পড়ল পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের কণ্ঠে। গিবসন শুধু সন্তুষ্টই নন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেনদের নিয়ে রীতিমতো গর্বিত। খেলা শেষে গিবসন বলেন, ?আমার মনে হয় আমরা প্রথম ঘণ্টায় দুর্দান্ত ছিলাম। আমরা বেশ কয়েকবার তাদের ব্যাটে পরাস্ত করেছি এবং আরো বেশি উইকেট পেতে পারতাম। কনওয়ে খুব ভালো খেলেছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি যেখানে খুব বেশি ঘাস নেই উইকেট। তাই ঘাসটা একটা বড় ফ্যাক্টর। টসে আমরা ভেবেছিলাম নতুন বলে কিছুটা ম্যুভমেন্ট পাব এবং সেটি কিন্তু পেয়েছিও। ছেলেরা আজ যেভাবে লড়াই করেছে আমি গর্বিত। ফাস্ট বোলাররা এগিয়ে এসেছে। মিরাজ একপ্রান্ত থেকে আটকে রেখেছিল- যা কিনা অপর প্রান্ত থেকে ফাস্ট বোলারদের সাহায্য করেছে।’
এর আগে বে ওভালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দলের হয়ে বছরের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডেভন কনওয়ে। মুমিনুল হকের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে এই ব্যাটসম্যান ২২৭ বল মোকাবিলা করে ১২২ রান তুলে নেন। তার ইনিংসে ১৬টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল। এর আগে তার সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে তোলার পথে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন উইল ইয়ং। তবে নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোতে রান আউটের শিকার হলে এই ব্যাটসম্যানের আর সেঞ্চুরি করা হয়ে ওঠেনি। ১৩৫ বল মোকাবিলা করে এই ব্যাটসমান ৬ চারের সাহায্য ৫২ রানের একটি ইনিংস খেলেন। অবশ্য দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন ইয়ং। ইনিংসের ২৮তম ওভারের চতুর্থ বলে তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল জমা পড়ে লিটনের গøাভসে। কিন্তু বাংলাদেশের কেউই সেই বলে আবেদন করেননি। রিপ্লেতে দেখা যায় আবেদন করলে বা রিভিউ নিলে ২৭ রানেই আউট হতে পারতেন ইয়ং। ইয়ংয়ের পরে উইকেটে নেমে কনওয়ের সঙ্গেঠিক ৫০ রানের জুটি গড়ে রস টেইলর শরিফুলের বলে সাদমানের হাতে ধরা পড়েন। আউট হওয়ার আগে ৫ চারের মারে ৬৪ বল থেকে তিনি করেন ৩১ রান। এরপর দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ইনিংসের ৮৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ১১ রান করা ব্লান্ডেলকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন এবাদত হোসেন। দিন শেষে হেনরি নিকলস অপরাজিত রয়েছেন ৩২ রান করে। বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে ৫৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়