নজরুল ইসলাম খান : খালেদা জিয়ার কিছু হলে রেহাই পাবেন না

আগের সংবাদ

নতুন বছরে সরকারের ১০ চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে মিনি সেক্রেটারিয়েট : এক কমপ্লেক্সে ৪৪টি অফিস প্রকল্পের নকশার কাজ শেষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রীতম দাশ, চট্টগ্রাম অফিস : আদালত পাড়ার পরিবেশ রক্ষা, নগরীর ওপর চাপ কমানো এবং জনগণ যেন এক জায়গাতেই সরকারি সব সেবা পায়, এজন্য কর্ণফুলীর তীরবর্তী হামিদচরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামে সরকারি একটি প্রকল্প। নির্মাণকাজ শেষ হলে স্থানীয় পর্যায়ের সকল সরকারি অফিস সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে। দেশের প্রথম সমন্বিত সরকারি অফিস কমপ্লেক্সের প্রকল্পটির নকশার কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রকল্পটি পরিদর্শন করবেন।
প্রকল্পের নকশা পরিবর্ধন ও সংযোজনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, গত মাসেই প্রকল্পের নকশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কিছু মতামত দেয়ায় এবং সে অনুযায়ী পরিবর্ধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ায় তা সম্ভব হয়নি। আশা করছি, চলতি মাসের শেষের দিকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিবর্ধিত ও সংযোজিত নকশা উপস্থাপন করতে পারব। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কোর্ট হিলসহ (পরীর পাহাড়) চট্টগ্রামের অন্য সরকারি অফিসগুলো সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ঐতিহ্যের ধারক এই পাহাড়টিকে রক্ষায় সরকারের অনুশাসনের আলোকে। ইতোমধ্যে কোর্ট হিলকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর। সে কারণে চট্টগ্রামে সরকারি অফিসগুলোকে সমন্বিতভাবে একস্থানে আনার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হবে। এছাড়া, সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ হলে জনগণও সকল সেবা পাবে একই স্থান থেকে। যার ফলে নথি নিয়ে কিংবা সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে হামিদচর পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর

মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। তখন তিনি বলেছিলেন, দ্রুতই প্রকল্পটির কাজ শুরুর প্রক্রিয়া নেয়া হবে। এরপর গত ১৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক প্রকল্পটির বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ৬ জানুয়ারি ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামের সরকারি সম্মিলিত অফিস নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করবেন। একই দিন তিনি বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয় পরিদর্শন ও জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরে কর্মরত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্কিট হাউসে মতবিনিময় করবেন।
প্রসঙ্গত, নগরীর চাঁন্দগাও থানাধীন বন্দর মৌজার কর্ণফুলীর তীরে জেগে ওঠা বিশাল হামিদচরে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। যেখানে গড়ে তোলা হবে প্রায় ৪৪টি সরকারি অফিস। সমন্বিত এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। হামিদচরের ১১০ একরের বেশি জায়গার ওপর নির্মাণ হবে সরকারের এ প্রকল্প।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়