নজরুল ইসলাম খান : খালেদা জিয়ার কিছু হলে রেহাই পাবেন না

আগের সংবাদ

নতুন বছরে সরকারের ১০ চ্যালেঞ্জ

পরের সংবাদ

উন্নয়নশীল দেশে চূড়ান্ত উত্তরণ উদযাপন আজ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ থেকে বাংলাদেশকে চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নয়নে সুপারিশ উদযাপন করতে যাচ্ছে সরকার। আজ রবিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদযাপনের এ অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল শনিবার এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। গত ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। গত ১২ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির অভাবনীয় অর্জন ‘রূপকথার গল্পকেও হার মানায়’ বলে মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, করোনার আগের ১০ বছরে ১৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এমনকি করোনায় যখন সারাবিশ্বের অর্থনীতি ৩ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, সে সময়ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সব সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনৈতিক এ সাফল্যে আজ আমাদের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল করছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হব, ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথেও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। অনেকেই আমাদের রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। আসলে তেমন কিছুই হবে না, বরং রপ্তানি আরো বাড়বে। কারণ এখন আমরা আগের অবস্থানে নেই। এখন আমাদের মানুষের দক্ষতা অনেক বেড়েছে। আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে চাই আমরা। জনমিতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে চাই। এ সময় তিনি এক গবেষণা ফলাফল উদ্ধৃতি করে বলেন, আগামী ২০৩৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সুখীসমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার কল্পিত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণরেখাটি স্পর্শ করতে পারবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে তিনটি শর্ত পূরণ করায় জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য সুপারিশ করেছে। পরে জাতিসংঘের আরেকটি সংগঠন ইকোসক এটাকে সমর্থন করেছে। সর্বশেষ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে। এ অনুমোদন ৫ বছরের প্রস্তুতিমূলক সময়সহ ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে জানান তিনি। সচিব বলেন, গত ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের চূড়ান্ত ঘোষণা পাওয়ার পর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান থাকায় আমরা এটার সঙ্গে মেলাতে চাইনি। এ বছরেই আমরা আমাদের উদযাপনটা পালন করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়