পরিকল্পনামন্ত্রী : দেশে রাজনীতিবিদের চেয়ে আমলাতন্ত্রের দাপট বেশি

আগের সংবাদ

শ্যামল দত্ত’র প্রত্যয় : চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাবে ভোরের কাগজ

পরের সংবাদ

২৪ মামলার আসামি কবিরসহ ৮ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজমিস্ত্রি বাবার সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করলেও তা ছেড়ে প্রায় ১০ বছর আগে সন্ত্রাসী বাহিনী গাংচিলে যোগ দেয় কবির হোসেন। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে মালবাহী নৌকা ও ট্রলারে চাঁদাবাজির মধ্য দিয়ে মেলে জলদস্যুর কুখ্যাতি। তবে র?্যাবের অভিযানে গাংচিল বাহিনীর অস্তিত্ব সংকটে পড়লে চার বছর আগে নিজের নামে দুর্ধর্ষ বাহিনী গড়ে তোলে সে। আর সেই কবির বাহিনীতে স্থান মিলত বখে যাওয়া ছেলেদের। গ্যাং কালচারের মাধ্যমে তাদের দিয়ে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বসিলা, চাঁদ উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক, জবরদখল, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল সে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কবির বাহিনীর হোতা ২৪ মামলার আসামি কবির হোসেনসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাকিরা হলো- রুবেল ওরফে পানি রুবেল (২৭), আমির হোসেন (২১) মামুন (২৫), রিয়াজ (২০), মেহেদী হাসান (২৫), মামুন ওরফে পেটকাটা মামুন (২৩) ও বিল্লাল (২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড তাজা গুলিভর্তি ম্যাগজিন, ছোরা, ৪টি চাপাতি, ৪১৭ পিস ইয়াবা এবং ৭টি মোবাইল জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ‘ভাইব্বা ল কিং’ নামের একটি কিশোর গ্যাংকে গ্রেপ্তার করে র?্যাব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় কবিরসহ ওই ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, এ দলের হোতা গ্রেপ্তার জলদস্যু কবির ওরফে গাংচিল কবির। এ চক্রের সদস্য সংখ্যা ২০-২২ জন। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা, সন্ত্রাসী, মাদক কেনা-বেচা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, কবির ২০১৮ সালে প্রথম গ্রেপ্তার হয়। হত্যা, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি ও মারপিটসহ সর্বমোট ২৪টি মামলার আসামি সে। গ্রেপ্তার অপর সদস্যরা ক্ষুদ্র ব্যবসা, গাড়ি চালানো, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়