পরিকল্পনামন্ত্রী : দেশে রাজনীতিবিদের চেয়ে আমলাতন্ত্রের দাপট বেশি

আগের সংবাদ

শ্যামল দত্ত’র প্রত্যয় : চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাবে ভোরের কাগজ

পরের সংবাদ

‘মৌচাষে’ লাখপতি চাঁপাইয়ের মনিরুল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সরিষা ফুলের মধু বিক্রি করে মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় করেছেন মৌচাষি মনিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের ল²ীপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১০ সাল? থেকে টানা ১২ বছর মৌ চাষ করে এখন তিনি লাখপতি। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে- এ পদ্ধতিতে মৌ চাষ করলে ভালো আয় করা সম্ভব। এতে সরিষার ফলনও ভালো হয়।
সম্প্রতি গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের দায়েমপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের খামারে গিয়ে দেখা যায়, ২৫০টি বাক্সে মৌ চাষ করেছেন তিনি। বাক্সের ভেতর থেকে ভোঁ ভোঁ শব্দ আসছে প্রশিক্ষিত মৌমাছির। বাক্সগুলোর ওপরের অংশটা মোড়ানো কালো রঙের পলিথিন ও চট দিয়ে ঢাকা।
এ ব্যাপারে মৌচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আমি মৌচাষ করে আসছি। গোমস্তাপুর ও নাচোলসহ জেলায় ৫ উপজেলায় আমার মৌচাষের খামার আছে। গত নভেম্বর মাসে আমি ২৫০টি বাক্সে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি করেছি। বাজারে ১২ হাজার টাকা মণ দরে এই মধু বিক্রি করি। আর খুচরা বিক্রি করা হয় ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে। তিনি আরো বলেন, এভাবে মধু চাষ করতে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। আমার ২৫০টি বাক্সে এখন মেলেফিরিয়া জাতের মৌমাছি রয়েছে। এটি তিন ধরনের হয়ে থাকে। পুরুষ-স্ত্রী ও শ্রমিক মৌমাছি। শ্রমিক মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে নিয়ে আসে। আর পুরুষ-স্ত্রী মৌমাছির কাজ শুধু জন্ম প্রজনন বাড়ানো।
একটি বাক্সে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মৌমাছি রয়েছে। বাক্সের ভেতরে কাঠের তৈরি ফ্রেমের সঙ্গে মোম দিয়ে বানানো। সেগুলো সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। সরিষা ফুলের মধু ছাড়াও কালোজিরা ও লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করি। এছাড়াও যদি কোনো বাক্সের মৌমাছি মারা যায় সেগুলো শুকিয়ে বিক্রি করি ৩ হাজার টাকা কেজি দরে।
তার খামারের শ্রমিক শফিকুল বলেন, এখানে কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তিনি অনেক পরিশ্রমী ব্যক্তি। অনেক কষ্ট করে ধীরে ধীরে এই প্রকল্প তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। খামারে রয়েছে ১০ শ্রমিক এবং প্রত্যেককে বেতন দেয়া হয় মাসিক ১২ হাজার টাকা। এ থেকেই আমার সংসার চলে।
এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ৫ উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২১০ হেক্টরে। তবে মনিরুলের মতো চাষিরা মৌচাষ করতে পারলে সরিষার ফলন আরো বাড়বে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়