২০২০-২১ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড। টাকার অঙ্কে যা ৬ কোটি ৬৩ লাখ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের প্র্রতিষ্ঠানটির ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ অনুমোদন দেয় পরিচালনা পর্ষদ।
গত ২৯ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় জেএমআই সিরিঞ্জের বার্ষিক সাধারণ সভা। এ সময় নগদ লভ্যাংশ অনুমোদনসহ মোট ৮টি আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা) অনুমোদিত হয়। এ সময় জানানো হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্র্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্র্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা শূন্য ৩ পয়সা; আগের অর্থবছরে যা ছিল ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে প্রতি বছর ৩০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড। সভায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল প্রাঠান বলেন, টানা প্রায় ৫ বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছি আমরা। আগামী বছরগুলোতে আরো বড় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। জেএমআই সিরিঞ্জ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৪১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রদান করেছে বলেও জানান তিনি।
সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, এরই মধ্যে আমরা আমাদের কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোয় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কার্যক্রম চলছে। এতে সামনের বছর থেকে আমাদের নিয়মিত উৎপাদনের সঙ্গে মাসে আরো ৯০ লাখ সিরিঞ্জ যোগ হবে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশের চাহিদা মাথায় নিয়েই আমরা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য নেপাল, ইউনিসেফসহ বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান থেকে সিরিঞ্জ ক্রয়ের আগ্রহপত্র-ক্রয়াদেশ পেতে শুরু করেছি আমরা।
এজিএমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএমআই সিরিঞ্জেস এন্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক আব্দুল হক, এ টি এম সেরাজুল সালেকিন চৌধুরী ও মুস্তাফিজুর রহমান, জাপানের নিপ্রো করপোরেশন মনোনীত পরিচালক কাটসুহিকো ফুজি প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।