কাগজ প্রতিবেদক : স্বল্প পরিসরে পরিচালিত হয়ে আসা সিটি মানারাহকে আধুনিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য নতুন রূপে ইসলামি ব্যাংকিংসেবা ‘সিটি ইসলামিক’ চালু করল।
ঢাকায় দি ওয়েস্টিন হোটেলে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সিটি ইসলামিক’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ-আল কায়সার, ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ। সিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন থেকে দেশব্যাপী দেড়শটির মতো শাখা, উপশাখা ও এসএমই সেন্টারগুলোতে প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি পরিপূর্ণ শরিয়াহ ও উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিংসেবা নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, সিটি ব্যাংকের বিশ্বমানের ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ সিটিটাচের মাধ্যমেও গ্রাহক ইসলামি ব্যাংকিংসেবা নিতে পারবেন। পাশাপাশি এ ব্যাংক ‘সিটি ইসলামিক’ গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে দেশের প্রথম আমেরিকান এক্সপ্রেস ইসলামিক ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড। সিটি ইসলামিক গ্রাহকদের জন্য রয়েছে শরিয়াহভিত্তিক সব ধরনের ডিপোজিট ও বিনিয়োগ সুবিধা। সুদবিহীন মুনাফা বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য সিটি ইসলামিক গ্রাহকদের মধ্যে ইনভেস্টমেন্ট ইনকাম শেয়ারিং রেশিও পদ্ধতিতে মুনাফা দিয়ে থাকে। অন্যান্য ব্যাংকের মতো সিটি ইসলামিক ডিপোজিট গ্রাহকদের জন্য পূর্ব-নির্ধারিত মুনাফার হার ঘোষণা করে না। সিটি ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেমে গ্রাহকরা তাদের ইসলামিক বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাত্যহিক জীবনের ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে পার্সোনাল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে করপোরেট ব্যাংকিং সুবিধা নিতে পারবেন।
সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ-আল কায়সার বলেন, অর্থনীতিতে এখন ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গভাবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংসেবা দানের লক্ষ্যে ‘সিটি ইসলামিক’ চালু করা হলো।
সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ বলেন, এটা না বললেই নয় যে আপনারা সবাই সিটি ব্যাংকের পাশে থেকে আমাদের আজকের অবস্থানে আসার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ভবিষ্যতেও আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
স্বাগত বক্তব্যে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন ব্যাংকটির ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবসায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ সুদবিহীন ইসলামিক সেবা পছন্দ করেন। সরকার অনুমতি দিয়েছে এখন থেকে আমরা দেশের সব শাখা-উপশাখা থেকে ইসলামিক ব্যাংকিংসেবা পরিচালনা করতে পারব। এতে গ্রাহকরাও উপকৃত হবেন।