এবার রাজধানীতে গাড়িচাপায় সাইকেল আরোহী নিহত

আগের সংবাদ

প্রতিকারহীন মৃত্যুর মিছিল!

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই সবার ঐক্যবদ্ধতা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উদ্যোগে রাজধানীর সবুজবাগ বৌদ্ধবিহারে ‘বাংলাদেশ-ভারতের বৌদ্ধ দর্শন ও বৌদ্ধ ঐতিহ্য’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মাহাথেরোর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. বিক্রম প্রসাদ বড়–য়া ও সহসভাপতি ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। ভিন্নরকম অনুভূতি কাজ করছে। আমাদের এ বিজয় শুধু যুদ্ধের ময়দানে একটি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করা নয়, এর পেছনে অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণময় ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ার চেতনা যেমন আছে, তেমনি আছে দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়। আমরা বাংলাদেশকে শত্রæমুক্ত করেছি ১৯৭১ সালে, এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার যে মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, সেই জায়গায় নিয়ে যেতে চাই দেশকে। স্বাধীনতার সুফল যেন দেশের সব মানুষ পেতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই নির্বাচনী এলাকা হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম নিদর্শন। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সকলেই মিলেমিশে থাকে। এখানে একটি জামে মসজিদে যাওয়ার মতো রাস্তা ছিল না। সেখানে মন্দিরের জায়গা থেকে রাস্তা দেয়া হয়েছে যেন জামে মসজিদে গিয়ে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারেন। আমাদের এ এলাকায় আগে তীব্র পানির সমস্যা ছিল। পানির পাম্প বসানোর মতো জায়গা ছিল না। সেই জায়গা মন্দির থেকে দেয়া হয়েছে। এই পানি যখন বিভিন্ন বাসায় পৌঁছায় তখন কিন্তু কে কোন ধর্মের তা দেখা হয় না। এই যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের এলাকায় আছে তা একটি মূল্যবান সম্পদ। এটি বজায় রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, বৌদ্ধ দর্শন ও সংস্কৃতি বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের ঐতিহ্য। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনাই ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতি। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, এখানে আবার আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বৌদ্ধ দর্শন এই অঞ্চলের একটি সুবিশাল ঐতিহ্য। আমরা সেই ঐতিহ্যকে সম্মান করি। ভারত বৌদ্ধ দর্শন ও ঐতিহ্যকে সম্মান করে বলেই তার জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়