এবার রাজধানীতে গাড়িচাপায় সাইকেল আরোহী নিহত

আগের সংবাদ

প্রতিকারহীন মৃত্যুর মিছিল!

পরের সংবাদ

শিবালয়ে ড্রেজার বাণিজ্য চলছেই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের যমুনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু ব্যবসা করছেন কতিপয় ড্রেজার ব্যবসায়ী। এতে নদী পাড়ের বেড়িবাঁধসহ বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তেওতা ইউনিয়নের মালুচি গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলাম, কোনো লাভ হয়নি। কারণ চেয়ারম্যান নিজেই এ ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে কিছু দিন আগে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে কয়েকটি ড্রেজারের পাইপ ধংস করেছেন। তিনি চলে যাওয়ার কিছু সময় পর তারা আবার ড্রেজারের পাইপ মেরামত করে দিব্যি মাটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, জেল-জরিমানা ও কঠোর শাস্তি ছাড়া শুধু পাইপ ভেঙে ড্রেজার ব্যবসা কখনো বন্ধ হবে না। জাফরগঞ্জ এলাকার আরেক বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, সরকার আমাদের ভিটেমাটি রক্ষায় এই বেড়িবাঁধ করে দিলেও এসব ড্রেজারের কারণে বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে। ড্রেজারের কারণে বর্ষাকালে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা স্থায়ীভাবে ড্রেজার বন্ধের বিষয়ে উপজেলায় বহুবার গিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ কারণে আমরা এখন ত্যক্ত-বিরক্ত।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমাদের এখন এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। রাতে ড্রেজারের শব্দে পড়তে পারি না। কাকে বলব আমরা? উপজেলার কর্মকর্তা এসে একদিন ড্রেজার ভেঙে দেন। পরের দিন আবার তা চলে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিবালয় উপজেলার তেওতা বাজার থেকে জাফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তবে অধিকাংশ ড্রেজার রয়েছে মালুচি পেয়ারা বাগান এলাকায়। এদের মধ্যে আবুল হোসেন, আব্দুল হালিম, সাম, রেজা, মুক্তার, মানিক, মুন্না, আরিফ, নান্নু, আজগর, ফরহাদ, শুভ্র, হাফিজুল, মোমিন ও জিয়ার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শিবালয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। কিছু দিন আগে আমি অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্তু ড্রেজারের মালিককে খুঁজে পাইনি। সম্প্রতি জানতে পেরেছি তারা পুনরায় ড্রেজার বাণিজ্য শুরু করেছে। অবশ্যই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়